Home সারাদেশ বড়দিন ঘিরে পাবনার খ্রিস্টান পল্লীতে চলছে প্রস্তুতি

বড়দিন ঘিরে পাবনার খ্রিস্টান পল্লীতে চলছে প্রস্তুতি

by Newsroom
বড়দিন

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন । দিনটিকে সামনে নিয়ে পাবনার খ্রিস্টানপল্লীতে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। চলছে আলোকসজ্জা, রংবেরংয়ের আল্পনা আঁকা এবং গীর্জা ও উপাসনালয়গুলো সাজানো কাজ।

বাসা বাড়িগুলোতেও উৎসব ঘিরে চলছে নানা প্রস্তুতি। তৈরি করা হচ্ছে গোশলা। প্রস্তুত করা হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। থাকছে বাড়িবাড়িতে পিঠাপুলির আয়োজনও। দিনটি উদযাপনে দুরদুরান্ত থেকে স্বজনরা নিজ এলাকায় আসতে শুরু করেছে।

জানা যায়, দুই হাজার বছর আগে বর্তমানের ফিলিস্তিনের বেথেলহেমের এক গোশালায় মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। তিনি মানুষকে দেখিয়েছিলেন মুক্তি ও কল্যাণের পথ। সেই যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথি উদযাপনে পাবনার খ্রিস্টান পল্লী এখন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

বড়দিন

চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ও ভাদড়া গ্রামের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা জানান, বাড়ির সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা করছেন সাধ্যমত। তবে করোনাকালে উৎসবের ব্যাপকতা নেই। বাসা বাড়ি ও গীর্জা, উপাসনালয়ের পথগুলোতে রঙয়ের আঁচড়ে দেয়া হচ্ছে নানা আল্পনা।

তারা বলেন, প্রভু যিশু খ্রিস্ট বেথেলহামের যে গোশালায় জন্মেছিলেন, তার আদলে প্রত্যেক বাড়িতে গোশালা স্থাপনের কাজ চলছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই গোশালা সাজিয়ে তোলা হবে।

চাটমোহরের উথুলী উপাসনালয়ের পালক পংকজ গৌস্বামী বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন ঘিরে নেয়া হয়েছে নানা আয়োজন। তবে করোনার কারণে তারা আয়োজন স্বল্প পরিসনে গ্রহণ করেছেন। দিবসটি ঘিরে যার যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা যথাসাধ্য সেই দায়িত্ব পালন করতে তৎপর রয়েছে।

বড়দিন ঘিরে কয়েকজন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, দিনটি স্মরণ রাখতে আমরা যথাসাধ্য আনন্দ বিনোদন করে থাকি। এই আনন্দটা পরিবার, সমাজ ও গোষ্ঠির সঙ্গে পালন করতেই নিজ এলাকায় ছুুঁটে আসি। গানবাজনা, নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটকসহ নানা আয়োজন থাকে।

বড়দিন

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক স্টিফেন সরকার বলেন, পাবনায় ৩০টি গ্রামের ২১টি উপাসনালয়ে বড়দিনের উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবার বড় পরিসরে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে এবারে উৎসব আয়োজন সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে স্বল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নগরকীর্তন, বড়দিনের উপাসনা, কেক কাটা, পিঠা পর্ব, প্রীতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।

মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা বলেন, যিশু খ্রিস্ট আমাদের পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং অন্তরের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখানোর বাণী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। জগতে শান্তি-ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং সবার মাঝে ভাতৃত্ব মিলন বজায় রাখার আহবানে পালিত হবে এবারের বড়দিন ।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসবটি উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেকোনো ধরণের নাশকতা প্রতিহত করতে আইন শৃংখলা বাহিনী সোচ্ছার।

আরও পড়ুন : রংপুরে ১২ দাবিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের গণঅবস্থান

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like