Home সারাদেশ ভোটের মাঠ গরম করে ফেলছেন সাবেক চেয়ারম্যান

ভোটের মাঠ গরম করে ফেলছেন সাবেক চেয়ারম্যান

by Amir Shohel

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে ফেলছেন সাতক্ষীরার তালা সদরের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম। মোটর সাইকেল শোডাউন, গণসংযোগ, পাড়ায় পাড়ায় উঠান বৈঠক ও নির্বাচনি নানা প্রচারণায় ভোটের মাঠ গরম করে ফেলেছেন জাতীয় পার্টির এ নেতা। ফলে ইউনিয়ন জুড়ে চলছে এখন ভোটের আলোচনা।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ২২ মার্চ তালায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে সব দলের প্রার্থীরা চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। তার মধ্যে জোরোসোরে মাঠে নেমেছেন সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম।

তাছাড়া চেয়ারম্যান পদে আরও মাঠে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা পরিষদের সদস্য মীর জাকির হোসেন। তবে দলীয় প্রতিক নৌকা না পেলে তারা জোরোসোরে মাঠে নামবেন না বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন আজিজুর রহমান ও রেজাউল ইসলাম রেজা। তাছাড়া জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন অ্যাড. সরদার মশিয়ার রহমান।

জাতীয় পার্টির তালা উপজেলা শাখার সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম নজরুল ইসলাম বলেন, তালা সদর ইউনিয়নের মানুষ এখন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী তথাকথিত সন্ত্রাসীরা অতিষ্ট করে তুলেছে তালার সর্বসাধারণকে। হত্যা, লুটপাটসহ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এলাকায় উন্নয়ন নেই অথচ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে কোটি কোটি লুটপাট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তালার মানুষ এখন শুধু ভোটের দিনক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামীদিনে ব্যালটের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসী অপশক্তিকে তালা ইউনিয়ন থেকে বিদায় করে দিবে। আমি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। সেই সময়ে এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ৭৮টি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করেছি। আমার হাতেই তালাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়েছে। তাই উন্নয়ন ও সুশাসন পেতে আগামী নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতিকে ভোট দিয়ে তালাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাকে নির্বাচিত করলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবো। জনসেবা পৌঁছে যাবে জনগণের দোড়গোড়ায়।

সবশেষ ২০১৬ সালে মার্চে প্রথম কোটায় তালায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী মার্চে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ও ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like