Home সারাদেশ ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুটে নাব্যতা সংকট

ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুটে নাব্যতা সংকট

by Newsroom

ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুটে মেঘনায় ডুবোচর জেগে উঠায় লঞ্চ ও ফেরি চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, নৌপথে ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর রুট। গুরুপ্তপূর্ণ এ পথে প্রতিনিয়ত তিনটি ফেরি ও ১৬টি লঞ্চ যাতায়াত করে। দেশের দীর্ঘতম নৌপথ হিসেবে পরিচতি এ রুটের দুরত্ব ২৫ কিলোমিটার। ভোলা থেকে লক্ষীপুর যেতে ফেরীতে ৩ ঘণ্টা এবং লঞ্চে সোয়া ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু বর্তমানে নাব্যতা সংকটে ফেরিতে ৫ ঘণ্টা এবং লঞ্চে ২ ঘণ্টা করে সময় লাগছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

লঞ্চ ও ফেরি মাস্টারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোলা-লক্ষীপুর রুটের মেঘনা নদীর মতিরহাট, মেহেন্দিগঞ্জ, বুড়ির খাল ও রামদাসপুর পয়েন্টে ডুবোচর জেগে উঠেছে। নাব্যতা সংকটে গন্তব্যে পৌছাতে নৌযানগুলোও দ্বিগুণ সময় লাগছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে চলছে ফেরি ও লঞ্চ। ফলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষদের। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে ফেরি গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় উভয় পাড়ে দীর্ঘ জট লেগে থাকে।

ভোলা-লক্ষীপুর রুটে চলাচলকারী কলমিলতা ফেরির মাস্টার মো. সালাউদ্দিন জানান, আগে আমাদের যেতে সময় লাগতো ৩ ঘণ্টা। কিন্তু এখন লাগছে ৫ ঘণ্টা। ফেরি চলাচল করতে কমপক্ষে ৮-১০ ফুট পানির প্রয়োজন। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারণে মতিরহাট, বুড়ির খাল ও রামদাসপুর পয়েন্টে ৩-৪ ফুটের বেরি পানি থাকে না। অনেক সময় জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

ভোলা-লক্ষীপুর রুটে চলাচলকারি চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চের মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ডুবোচর এখন ভয়াবহ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে লঞ্চগুলোকে ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে একদিকে অতিরিক্ত সময় লাগছে অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।

তিনি বলেন, বুড়িরখাল পয়েন্টে ৩০০ মিটার, মতিরহাট পয়েন্টে এক কিলোমিটার ও মেহেন্দিগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিার এলাকা জুড়ে ডুবোচর জেগে উঠেছে। এর কারনে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। ড্রেজিং করলে এ সমস্যা থাকতো না।

ভোলা ফেরি ঘাটের বিআইডব্লিটিসি ব্যবস্থাপক এমরান হোসেন বলেন, ডুবোচরের কারণে ফেরি ও লঞ্চ চলতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ফেরি ঘাটের উভয় পাড়ে যানজট লেগে থাকে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে হচ্ছে পরিবহন শ্রমিক. ফেরী কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ যাত্রীদের। এ রুটে দ্রুত ড্রেজিং করতে আমরা বেশ কয়েকবার বিআইডব্লিটিএ কর্মকর্তাদের জানিয়েছে।

আরও পড়ুন : ‘ভাঙন ঠেকাতে নদীগর্ভের চর-ডুবোচর অপসারণ করতে হবে’

এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিটিএ অতিরিক্ত পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভোলা-লক্ষীপুর রুটে মেঘনা নদীতে ডুবোচর সমস্যা আছে, তবে মতিরহাট পয়েন্ট দিয়ে ড্রেজিং চলছে, খুব দ্রুতই অন্য পয়েন্ট দিয়েও ড্রেজিং শুরু হবে।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like