করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বিশ্বের বাঘা বাঘা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করে আলোচনায় এসেছে রাশিয়ার গামালেয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট।
তাড়াহুড়ো করে করোনা ভ্যাকসিন বানালে তা কতটা কাজ করবে, রাশিয়ার কাছে এমন প্রশ্ন ছুড়ছেন অনেকে। এমনকি রাশিয়ার ভ্যাকসিন তৈরী নিয়ে উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।
তবে রাশিয়ার এ সাফল্যের নেপথ্যে থাকা মস্কোর গামালেয়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গ দাবি করে বলেন, করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনতে তারা কোন তাড়াহুড়ো করেননি।
আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গ বলেন, ইবোলা ও মার্সের মতো ভয়ংকর ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই মাত্র ৫ মাসের গবেষণার মাথায় তারা করোনার টিকা Sputnik V বানাতে সক্ষম হয়েছে।
আলেকজান্ডার আরও দাবি করেন, পুরো প্রজন্মের বায়োটেকনিশিয়ান, ভাইরোলজিস্টস ও ইমিউনোলজিস্টরা মিলে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন প্রযুক্তি তৈরি করছেন। সেই প্রযুক্তি এই ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজে লাগানো হয়েছে। তার সাথে আরও ৬টি ওষুধের প্রয়োগ হয়েছে।
করোনা ভ্যাকসিনের খুচরা উৎপাদন এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের তরফে তা জানানো হয়। বিশ্বে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারক দেশ রাশিয়া। মস্কোর গামালেয়া ইনিস্টিটিউটের তৈরি ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয় Sputnik V।
এদিকে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনা টিকার প্রথম ব্যাচ বাজারে ছাড়া হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, এই টিকা গ্রহণকারীরা কোনও সমস্যায় পড়ছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণে বিশেষ একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনা টিকা আবিষ্কারের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। ১১ অগস্ট বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে Sputnik V অনুমোদনের কথা জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার তৈরি এ টিকা যথেষ্ট কার্যকর বলেও দাবি করেন পুতিন।
ভয়েস টিভি/ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক/টিআর