সৌদি আরবের মদিনায় সোফা কারখানার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয় বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার তাদের মৃত্যুতে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশির রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
নিহতরা হলেন, মিজানুর রহমান, মো. আরাফাত হোসেন মানিক, ইসহাক মিয়া, আব্দুল আজিজ ও রফিক উদ্দিন। এদের মধ্যে মিজান ও আরাফাত সহোদর ভাই। এছাড়া স্থানীয় প্রবাসীদের থেকে জানা অপর নিহত হলেন সাইফুল ইসলাম।
এদের পাঁচজনের পরিচয় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম ও একজনের পরিচয় স্থানীয় প্রবাসীদের সূত্রে জানা গেছে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, মৃতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। রাষ্ট্রদূত জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলরকে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে দূতাবাসকে অবহিত করার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিহতদের জন্যে ক্ষতিপূরণ আদায় ও মৃতদেহ দ্রুত দেশে প্রেরণের নির্দেশ তিনি।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার গভীর রাতে মদিনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন সাত শ্রমিক। এদের মধ্যে ছয়জনই বাংলাদেশি। মদিনা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে হেরাজ মার্কেটের কাছে আল খলিল সড়কের পাশে অবস্থিত একটি সোফা তৈরির কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে রিয়াদের শিফা সানাইয়া এলাকায় এরকম একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি, ২০১৬ সালের এপ্রিলে পূর্বাঞ্চলীয় শহর জুবাইলের এক পেট্রো ক্যামিক্যাল কারখানায় আগুনে ১২ জন প্রাণ হারান।
একই বছর আগস্টে রিয়াদের হারাজ বিন কাশেম মানফুহা এলাকার একটি সোফা কারখানায় চার বাংলাদেশি শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। ঠিক তার এক বছর আগে দাম্মামের দাল্লা সানাইয়া এলাকার একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে চার বাংলাদেশি নাগরিকসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালের মে মাসে রিয়াদের সিফা সানাইয়ার আরেকটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে কুমিল্লার ৯ জন ও ফেনীর একজনসহ মোট ১০ জন নিহত হন।
গত এক দশকে সৌদি আরবের বিভিন্ন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত প্রবাসী নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : সৌদিতে করোনায় শতাধিক বাংলাদেশির মৃত্যু
ভয়েস টিভি/এমএইচ