ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ আকলিমা বেগমকে (২৭) হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা আজিজল হক জানান, নয় বছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে শম্ভুপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকার মো. ফরহাদের বিয়ে হয়। আকলিমা দুই সন্তানের জননী। বিয়ের পর থেকে ফরহাদ যৌতুকের জন্যে আকলিমাকে মারধর করতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ-মীমাংসায় বসলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
সর্বশেষ ৯ ফেব্রুয়ারি একই ঘটনায় স্বামী ফরহাদ আকলিমাকে মারধর করে। পরদিন বুধবার এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ পাওয়া যায়।
আজিজল হকের অভিযোগ, ফরহাদ ও তার পরিবারের লোকজন আকলিমাকে হত্যা করে গলায় রশি বেঁধে মরদেহ ঘরের ভিতরে রেখে পালিয়ে গেছে। ফরহাদ স্থানীয়ভাবে একজন বখাটে হিসেবে পরিচিত।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেয়ে বা তদন্ত না করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ভয়েস টিভি/এমএইচ