Home সারাদেশ চলে গেলেন মসজিদের ইমামও, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

চলে গেলেন মসজিদের ইমামও, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

by Newsroom
মসজিদের ইমামও

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় ইমাম আবদুল মালেকও মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর। তার সঙ্গে মারা গেছেন মিজান (৩৪) নামে আরও একজন।

এনিয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭ জন দগ্ধ রোগী।

০৫ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বিস্ফোরণের পর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ বাকি ১৭ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান ডা. সামন্তলাল সেন। তিনি জানান, তারাও রয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাহারউদ্দিন (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার আগে মারা যান রাসেল (৩৪), মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩) নামের আরও তিনজন। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর।

মৃতরা হলেন- মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), সাব্বির (২১), মোস্তফা কামাল (৩৪), রিফাত (১৮), জুবায়ের (১৮), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭০), হুমায়ুন কবীর (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (০৭), রাশেদ (৩০), জয়নাল (৫০), মাইনউদ্দিন (১২), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), নয়ন (২৭), রাসেল (৩৪), বাহাউদ্দিন (৬২) ও নিজাম (৪০)

আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে তিন কমিটি

৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই মসজিদের ৬টি এসি বিস্ফোরেণর ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিস্ফোরেণর সময় মসজিদে প্রায় ৫০-৬০ মুসল্লি ছিলেন। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন বলে জানায় স্থানীয়রা। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করানো হয়।

আরও পড়ুন: পরিষ্কার হচ্ছে বিস্ফোরণের কারণ

এদিকে নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তাল্লা বায়তুল সালা জামে মসজিদ কমিটি গণমাধ্যমকে জানায়, গত ৯ মাস আগে গ্যাস লাইন লিকেজ মেরামতের জন্য তিতাসে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা ঘুষের জন্য কাজ করেনি তিতাস।

এবিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, পুরো ঘটনা তদন্তে ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এই বিষয়ে তদন্ত করবে। টাকার দাবির কথা প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় আলাদা আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক ও ফায়ার ব্রিগেড। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like