Home জাতীয় ভাষা সৈনিক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম আর নেই

ভাষা সৈনিক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম আর নেই

by Shohag Ferdaus
মাজহারুল

ভাষা সৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার সকাল সোয়া নয়টায় তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি তার জন্ম।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এই চিকিৎসক ও ভাষা সংগ্রামী বারডেমের আইসিইউতে ভর্তি হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বারডেম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অনারারি চিফ কনসালটেন্ট ছিলেন।

রোববার বাদ যোহর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে তার জানাজা হবে। পরে তাকে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পান মির্জা মাজহারুল ইসলাম। মির্জা মাজহারুল ইসলাম ভাষা আন্দোলনে জড়িত হন এর সূচনাপর্ব থেকেই অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল থেকে। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রথম দু’টি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন (১৯৪৭-১৯৪৮) এবং প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মানে তার বিশেষ অবদান রয়েছে (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)। মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আহতদের পাশে চিকিৎসকের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

মাজহারুল ইসলাম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার আগচারান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া উচ্চতর অধ্যয়নের লাভের উদ্দেশে যুক্তরাজ্য যান ১৯৬৩ সালে।

মির্জা মাজহারুল ইসলাম প্রায় ছয় দশক ধরে শৈল্য চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৫৪ সালে অনারারি হাউজ সার্জন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সহকারী সার্জন হিসেবে বরিশাল সদর হাসপাতাল (১৯৫৮), ফরিদপুর সদর হাসপাতাল (১৯৬০), সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (১৯৬৬), প্রফেসর অব সার্জারি ও প্রিন্সিপাল হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (১৯৭৬), প্রফেসর অব সার্জারি হিসেব ঢাকা মেডিকেল কলেজ (১৯৮০) এবং ১৯৮৫ সালে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর পর তিনি জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা হিসেবে কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বারডেম সার্জারি বিভাগে মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তিনি দুইবার বারডেমের অবৈতনিক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিশনারসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ২০ বছর।

আরও পড়ুন: অযত্নে অবহেলায় খয়রাত হোসেন রেলস্টেশন

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like