Home শিক্ষাঙ্গন উত্তরবঙ্গের বন্যায় মাঝবঙ্গের ৩০৬ স্কুলের ক্ষতি

উত্তরবঙ্গের বন্যায় মাঝবঙ্গের ৩০৬ স্কুলের ক্ষতি

by Shohag Ferdaus

উত্তরবঙ্গে দু’দফা বন্যার পানি দক্ষিণবঙ্গের সাগরে যাওয়ার সময় মাঝবঙ্গের পদ্মা-যমুনাবেষ্টিত মানিকগঞ্জকে এবারও চুবিয়ে গেছে। আর তাতেই জমির ফসল, ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি করেছে এ অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর। বিশেষ করে নদী তীরের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নদীবর্তী কোনো কোনো বিদ্যালয়ে তীব্র স্রোতের ধাক্কায় দেয়াল দেবে গেছে, কিছু বিদ্যালয়ে খেলার মাঠের মাটি সরে গেছে, আবার অনেক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ সড়কটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর পানির তীব্র স্রোতে পদ্মায় স্মরণকালের ভয়াবহ ভাঙন দেখা গেছে এবার। এই ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জেলা শিক্ষা অফিস ও পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাঝবঙ্গের অর্থাৎ মানিকগঞ্জ জেলার ৬৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৩০৬টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয় পাঠদানের উপযোগী করতে ২ কোটি ৬০ লাখ ৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭০টি, ঘিওর উপজেলায় ৬৮টি, সিংগাইর উপজেলায় ৪০টি, সাটুরিয়া উপজেলায় ৪৯টি, হরিরামপুর উপজেলায় ১৫টি, শিবালয় উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয়ে, এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৩৪টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তার উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪ নম্বর বাঁচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯৮ নম্বর সুবুদ্ধি-পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৩ নম্বর চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে মুসলিম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও ৭টি প্রাথমিক স্কুল। এগুলো যমুনার নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত।

তিনি আরও জানান, তার উপজেলার ৪৩টি স্কুল প্রাঙ্গণ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ২২টি স্কুলের ভেতরে পানি ঢুকে বেঞ্চসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আবার বন্যার সময় ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছিল আশ্রয়ণ কেন্দ্র। এগুলোও মেরামত করতে হবে।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like