নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নাই ইউনিয়নের দূর্গানগর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের জননী আয়েশা সিদ্দিকাকে (২৭) মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৪ অক্টোবর শনিবার স্বামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ।
দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আনোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর ৪ আসামি পলাতক রয়েছে।
ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য তাকে শারীরিক নির্যাতন করত স্বামী, দেবর, ননদ ও শাশুড়ি। নিরুপায় হয়ে কয়েক বছর আগে তার শিক্ষক বাবা ২ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দিলে কয়েকদিন নির্যাতন বন্ধ থাকে।
কিছুদিন যাওয়ার পর তার স্বামী বিদেশ যাবে এ কথা বলে পুনরায় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় আবার নির্যাতন। সবশেষ গত ১৭ অক্টোবর শনিবার সকাল ৭ টার দিকে স্বামী, দেবর, ননদ ও শাশুড়ি মিলে তাকে মারধর শুরু করে। এর একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও বর্তমানে গুডহিল প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মামলা তুলে নিতে তার দেবর গুলজার হোসেন বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন জানান, নির্যাতনের ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত বুধবার ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
