মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে আরও দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩ মার্চ বুধবার তাঁর আইনজীবী খিন মং জ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে বিচার কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। খবর রয়টার্সের।
এর মধ্যে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে উইন মিন্টের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস মহামারির বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগও এনেছে সামরিক জান্তা সরকার। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কয়েক ঘণ্টা আগে এনএলডি’র শীর্ষ নেতা অং সান সু চির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও গ্রেফতার করা হয়।
অভ্যুত্থানের কয়েক দিন পর থেকেই সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের সাধারণ জনতা। ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি কর্মচারী, চিকিৎসক, শ্রমিক, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের পেশাজীবীরা কাজে ইস্তফা দিয়ে এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
তবে সেনাশাসিত সরকার বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভে গুলি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার ছিল দেশটিতে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন। এদিন ১৮ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এখন পর্যন্ত ২১ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকে।
মঙ্গলবার অভ্যুথানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর আবারও গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন : ‘জালিয়াতির’ অভিযোগ ট্রাম্পের, ‘শান্ত’ থাকার আহ্বান বাইডেনের
ভয়েস টিভি/এমএইচ