Home সারাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়ার দিন কাটছে ভাঙা ঘরে

মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়ার দিন কাটছে ভাঙা ঘরে

by Newsroom
মুক্তিযোদ্ধা

১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলেন নুরু মিয়া। তারপর দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে স্বাধীন হয় জন্মভূমি প্রিয় এই বাংলাদেশ। অর্জিত হয় লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া আজ জীবন যুদ্ধে অনেকটাই পরাজিত।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া পরিবার নিয়ে দিন কাটছে একটি ভাঙা ঘরে। তাঁর সম্পদ বলতে বসত ভিটে ছাড়া আর কিছুই নেই।

সম্প্রতি কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়ার সাথে। এলাকায় মেম্বার হিসেবে পরিচিত নুরু মিয়া জানান, ১৯৯০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি মেম্বার হয়েছিলাম। সেই থেকে সবাই আমাকে নুরু মেম্বার বলেই ডাকে। জনপ্রতিনিধি হয়েও নিজের পরিবারের জন্যে আমি কিছু করতে পারিনি।

এ সময় তিনি তাঁর নিজস্ব সম্পদ ১২ শতাংশ বসতভিটার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ভাঙা ঘরটি দেখিয়ে বলেন, এ ঘরেই স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সংসারে আয় করার মতো কেউ নাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতার যে টাকা পাই, সেটা দিয়ে সংসার চলে না। অল্প বৃষ্টি হলেই ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। অর্থের অভাবে ঘর মেরামত করতে পারছি না। ছেলেমেয়ের বিয়েও দিতে পারছি না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে অনেক কিছুই করছেন। যেসব মুক্তিযোদ্ধার ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার জন্যে একটা ঘর চাই।

মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়ার স্ত্রী কোকিলা বেগম বলেন, তিন ছেলের মধ্যে বড় দুজন রুহুল আমীন ও আল আমীন বেকার। ছোট ছেলে সাদ্দাম হোসেন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে মাস্টার্সে পড়ে।

দুই মেয়ের মধ্যে চাঁদনী আক্তার কেন্দুয়া সরকারি কলেজে এইচএসসিতে পড়ে এবং ছোট মেয়ে পনি আক্তার রায়পুর পিজাহাতি দাখিল মাদরাসায় পড়ছে। ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স হয়েছে। কিন্তু ঘরের অভাবে বিয়ে দিতে পারছি না।

আরও পড়ুন : পরিবেশ বিধ্বংসী ৬৪ ভাগ তেলের জাহাজ ভাঙা হয় বাংলাদেশে

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like