শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। ইতিহাস ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়।
২২ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ডকুমেন্টারিতে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন সময় হামলার ঘটনাবলী তুলে ধরা হয়েছে। ডকুমেন্টারিটির মূল ভাবনা, গ্রন্থনা ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন শাপলা মিডিয়ার কর্নধার মোঃ সেলিম খান। নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছেন তৌফিক আহমেদ।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি এটিই প্রথম। যার প্রযোজনা ও পরিবেশনায় রয়েছে দেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া। চলতি মাসের ৬ এপ্রিল পামাণ্য চলচ্চিত্রটি সেন্সর সনদের জন্যে সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়।
শাপলা মিডিয়ার কনধার চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক মোঃ সেলিম খান ে জানিয়েছেন ‘‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একে একে ১৯বার যে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। প্রতিবারই তিনি মৃত্যুকে জয় করে ফিরে এসেছেন বীরের বেশে। আর ঠিক এ কারণেই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির নাম রাখা হয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা। প্রামাণ্যচিত্রে ফুটে উঠেছে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার পেছনে কারা জড়িত ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি সেন্সরে জমা দিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই ছাড়পত্র পাব। সেন্সর সনদ পাওয়া গেলে মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা প্রামণ্য চলচ্চিত্রটি আমি সারাদেশের মানুষকে দেখাতে চাই। অনেক অজনা তথ্য নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র ‘আগষ্ট ১৯৭৫’ এবং বঙ্গবন্ধুর শৈশব কৈশোর নিয়ে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ নামে দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন মোঃ সেলিম খান। গেল বছর মুক্তি পাওয়া আগষ্ট ১৯৭৫ ও টুঙ্গিপাড়ার মিয়া সিনেমা দুটি সারা দেশে ব্যাপক সারা ফেলেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় সিনেমা দুটি ফ্রি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। সেই সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারা দেশের শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিনেমাগুলো বিনামূল্যে দেখানো হয় ।