Home বিনোদন ‘‌‌মুজিব ভাই’ ও ‘‌‌মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক’ নামে দুটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা সেলিম খানের

‘‌‌মুজিব ভাই’ ও ‘‌‌মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক’ নামে দুটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা সেলিম খানের

by Shohag Ferdaus

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে ‘মুজিব ভাই’ ও ‘মুক্তির মহানায়ক’ নামে দুইটি নতুন সিনেমা নির্মানের ঘোষণা দিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক মোঃ সেলিম খান।

এর আগেও তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর নিয়ে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা ও এর পরবর্তী ঘটনা নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘আগস্ট ১৯৭৫’ নামে দুটি চলচ্চিত্র।

ইতিহাস ভিত্তিক এ দুটি চলচ্চিত্র ব্যাপক সাড়া জাগায়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিদেশে চলচ্চিত্র দুটি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাৃথীদের বিনামূল্যে দেখানো হয়। সেই সাথে তথ্য মমন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন এবং দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিনামূল্যে প্রদর্শন করা হয়।

২৬ মার্চ শনিবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এক গণসংবর্ধনায় তিনি এ ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত সিনেমা টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে তাকে ওই এলারকার সর্বস্তরের জনগণ এই গণসংবর্ধনা দেন। ওই একই অনুষ্ঠানে চাঁদপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও সংবর্ধনা দেয়া হয়।

লক্ষীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইউনুছ শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তি যোদ্ধারা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক শাপলা মিডিয়া ও ভয়েস টেলিভিশনের মালিক মোঃ সেলিম খান। এ সময় তিনি মুজিব ভাই নামে চলচ্চিত্রের মহরত ঘোষণা করেন।

মোঃ সেলিম খান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দেশ বিদেশে সর্বত্র প্রদর্শিত হচ্ছে এ সিনেমাটি। এ চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমরা আরও চলচ্চিত্র নির্মাণ করব।

চাঁদপুরের লক্ষীপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম খান বলেন, আজ ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত এক মহান দিন। এই দিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে। ৯ মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে বীর বাঙালি বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু ভাবলে চলবে না যে, কেবল ৯ মাস যুদ্ধ করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস আরও অনেক লম্বা। ১৯৪৭ সালে এই সংগ্রামের শুরু। তখন বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলেছিলেন গণতান্ত্রিক যুবলীগ। এই গণতান্ত্রিক যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন, আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বাবা মরহুম এম এ ওয়াদুদ। বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য এরপর বঙ্গবন্ধু গড়েছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ।

শাপলা মিডিয়ার চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খান আরও বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার জন্য ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে ১৯৬৯ সালে হয়েছে গণ অভ্যুত্থান। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। এই সব কিছুই বাঙালির স্বাধীনতার ভীত রচনা করেছে। বাঙালির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে চার হাজার ৬৮২ দিন জেল খেটেছেন আমাদের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা কেবল নয় মাস যুদ্ধ করেই হয় নাই। ২৩ বছর সাত মাস ধরে সংগ্রাম করে নিজের জীবন বিপন্ন করে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে পূরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু। তাই কেবল, মুক্তিযুদ্ধ নয়, আমাদের প্রচারের মূল লক্ষ্য বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম আর এর পেছনের মূল কারিগর মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এ সময় পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, টুঙ্গীপাড়ার মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার শামীম আহমেদ রনি, পরিচালক জাকির হোসেন রাজু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্চাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই প্রদর্শন করা হয়। শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like