Home সারাদেশ মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

by Newsroom
ছাত্রীর সঙ্গে

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে শাহদাত হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের ঘরের আঙিনায় একটি পুকুর থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগের দিন বুধবার সকাল ৯টা থেকে ওই স্কুলছাত্র নিখোঁজ ছিলো।

নিহত শাহদাত হোসেন সোনাইমুড়ী পৌরসভার কাঁঠালি গ্রামের কাদির মাস্টার বাড়ির মীর হোসেনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় একই বাড়ীর জামালের ছেলে সুমন (২৮)। এরপর থেকে শাহাদাতকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের পিছনের পুকুরে ঝোপের মধ্যে শাহাদাতের পরিধানের কাপড় ভাসতে দেখে ছোট বোন মারিয়া তার মাকে জানায়। পরে কাপড় ধরে টান দিলেই ভেসে ওঠে শাহাদাতের মৃতদেহ। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন, এএসপি সাইফুল আলম (চাটখিল সার্কেল) পিবিআই ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের মা রোকসানা বেগম অভিযোগ করে জানান, সুমন প্রায় সময় বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে তার ঘরে মাদকসেবন করে আসছিলো। মঙ্গলবার রাতেও সে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে ঘরে মাদক পার্টি দেয়। সুমনের খারাপ অভ্যাস জেনে ফেলেছে বলে সুমন তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

এরআগে বুধবার ৯টার দিকে মুঠোফোনে কল দিয়ে সুমন ও তার বন্ধু পার্শ্ববর্তী নাওতা গ্রামের রিয়াজ শাহাদাতকে নিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক দুলালকে জানালে সন্ধ্যায় সুমন কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে শাহাদাতের কথা জিজ্ঞেস করলে সে এবং তার বন্ধুরা স্থানীয়দের সাথে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে নাওতলা গ্রামের তার বন্ধু রিয়াজের চাচা লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনকে নিয়ে চলে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভয়েস টিভি/ডিএইচ

You may also like