Home বিনোদন মসজিদের সামনে নেচে ক্ষমা চেয়েছেন মুনমুন

মসজিদের সামনে নেচে ক্ষমা চেয়েছেন মুনমুন

by Shohag Ferdaus

আমি যদি জানতাম ওখানে মসজিদ রয়েছে তাহলে কখনই নাচতাম না। তারপরেও যদি আমার এই ঘটনায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে সকলের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই দাবি করছিলেন চিত্রনায়িকা মুনমুন। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের সখীপুরের পলাশতলিতে একটি মসজিদের কাছে নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সমালোচনার ঝড় ওঠে। মুনমুনের চেয়ে এই নাচের আয়োজকদেরই ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা।

মুনমুন বলেন, আমি ওই অনুষ্ঠান শেষ করে ঢাকায় বাড়ি ফিরেছি। এরপরে আমার কাছে সখীপুর থেকে ফোন আসে। তারাই আমাকে জানায় ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু সত্য কথা হলো ওখানে কোনো মসজিদ ছিল না। মসজিদটি আসলে নদী ভাঙনে বিলীণ হয়ে যায়। সেই মসজিদের সাইনবোর্ড এনে রাখা হয়েছে। দেখবেন সাইনবোর্ডটা একেবারে নতুন। আর মসজিদের কার্যক্রম ছিল না। স্থানীয়রাই এসব বলেছে। আর আমি এসব কথা জেনেছি, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হবার পর।

মুনমুন বলেন, তারপরেও যদি আমার ভুল হয়ে থাকে আমি ক্ষমা প্রার্থী।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে বলেন, এক পরিচিত বড় ভাই বলেন, আমরা একটা নৌ ভ্রমণ করব, তুমি তো কখনো এমন ভ্রমণ করো নাই তোমার ভালো লাগবে। আমিও গেলাম। এরপর নৌ ভ্রমণ শুরু হলে তারা একটা আবেদন জানায় নৌকায় নাচার জন্য। কিন্তু প্রচণ্ড রোদ। সেই রোদে আমি কোনোভাবেই তাদের অনুরোধ রাখতে পারিনি। পরে তারা পলাশতলি নামের ওই জায়গায় বিরতি দেন। জায়গাটায় মানুষ থাকে না তেমন, কারণ কয়েকদিন আগেই নাকি ব্যাপক নদী ভাঙন হয়েছে।

নাচার প্রসঙ্গে বলেন, সেখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, মেম্বার ছিলেন। সবাই আমাকে একটু নাচের অনুরোধ করে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও আমি নাচিনি। দেখবেন আমি বসে ছিলাম ওই সাইনবোর্ডের উল্টা দিক হয়ে। ওভাবেই উঠে গিয়েছিলাম, যে কারণে আমি সাইনবোর্ডটা দেখিনি।

এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সখীপুরে নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশে চলচিত্র নায়িকা মুনমুনকে সখীপুরে আনেন আয়োজকরা। শনিবার সখীপুর ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পলাশতলী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাইলসিন্দুর নদীতে নৌকা ভ্রমণ শেষে দুপুরে পলাশতলী বাজারে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষে সাউন্ড সিস্টেমে ওখানে নাচের আয়োজন হয় বলে জানা যায়।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like