রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামীদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
১৭ জানুয়ারি রোববার দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্বামী আবদুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, ও মুক্তার ভাই মো. আল আমিন ওরফে জনি। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা, রসুন ও পেঁয়াজের আমদানিকারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিন বছর আগে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর রাজধানীর কাকরাইলের আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মামলায় নিহতের স্বামী আবদুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই মো. আল আমিন ওরফে জনিসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার পরদিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর মো. আলী হোসেন আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে ওই তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলায় গ্রেফতার হয়ে ওই তিন আসামিই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর পর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেয় ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। এ মামলার বিচারকালে অভিযোগপত্রের ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক। ১২ নভেম্বর তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এর পর ১৩ ডিসেম্বর দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শুরু হয়। গত ১০ জানুয়ারি এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সে দিনই আদালত রায়ের জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এদিন ওই মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
