শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে শিশু লিজা আক্তারকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৩ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় দেন।
এছাড়া শিশুটির মরদেহ গুম করার অপরাধে দুজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নিহত লিজা উপজেলার সখিপুর থানার সরদারকান্দি গ্রামের লেহাজ উদ্দিন সরদারের মেয়ে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, লিজার চাচা ফরিদ শেখ (৩৪) ও চাচাতো ভাই জাকির শেখ (২৮)।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে সখিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এক সপ্তাহ পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাটখেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার বাবা লেহাজ উদ্দিন সরদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
জানা যায়, ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহ মর্গে নিয়ে গেলে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাননি ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। পরে ডিএনএ টেস্ট করার জন্যে শরীরের কিছু অংশ ঢাকা মেডিকেল ও মহাখালীতে পাঠানো হয়।
তদন্ত শেষে সখিপুর থানার পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ভয়েস টিভি/এমএইচ