Home সারাদেশ মেঘনায় ইলিশ নেই!

মেঘনায় ইলিশ নেই!

by Newsroom
মেঘনায় ইলিশ নেই!

‘মেঘনায় মাছ নেই। নদীতে যাওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। গত দুদিনে মাত্র হাজারখানেক টাকার ইলিশ পেয়েছি। কয়েকদিনে অনেক দেনা হয়ে গেছে। এমন হলে কিভাবে আমাদের দিন কাটবে!’

মেঘনায় পর্যাপ্ত ইলিশ না পেয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন হারুন মাঝি। এ সমস্যা শুধু তার একার নয়, বেশিরভাগ জেলেরই।

জানা গেছে, ভোলার মেঘনায় সারাদিন জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ পাচ্ছে না জেলেরা। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার হচ্ছে তাদের। জেলে পরিবারে দেখা দিয়েছে অভাব। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

জেলেরা জানান, প্রতি বছরই অভিযানের পর নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ত। কিন্তু এ বছর ভরা মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়েনি। তারপর আবার অভিযানের পরেও একই অবস্থা। এতে দুর্দিন চলছে জেলে পাড়ায়।

এদিকে মাছ না পাওয়ায় ইলিশের ঘাটগুলোতেও কোলাহল কমে গেছে। জেলে, পাইকার ও আড়ৎদারদের হাক-ডাকে যেসব ঘাট মুখরিত থাকত, সেগুলো এখন অনেকটাই নিস্তব্ধ।

জেলে বশির মাঝি বলেন, ভাবছিলাম অভিযানের পর মাছ পাবো, কিন্তু নদীতে মাছ নেই। সারাদিন জাল বেয়ে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। গত এক সপ্তাহে জাল বেয়ে মাত্র ৪ হাজার টাকার মাছ পেয়েছি।

ভোলা সদরের তুলাতলী এলাকার কাসেম মাঝি বলেন, নদীত মাছ খুবই কম, তেল খরচও উঠে না। পাঁচ জেলে নিয়ে নদীতে গিয়ে পেয়েছি মাত্র ৭০০ টাকার মাছ। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব অভাবে দিন কাটছে।

ইলিশা বিশ্বরোড এলাকার আড়ৎদার মো. সামসুদ্দিন জানান, গত বছরগুলোতে প্রতিদিন আমাদের আড়ৎগুলোতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মাছ কেনা-বেচা হতো। কিন্তু এখন হচ্ছে মাত্র ১ লাখ টাকার। এতে আমাদের মত জেলেরাও লোকসানে আছে।

এ ব্যাপারে ভোলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক মাস সাধারণত তেমন মাছের ধরা পড়ে না। তবে জানুয়ারী থেকে মাছ ধরার পড়বে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা এক লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। জানুয়ারী থেকে ইলিশ ধরা পড়লে আশা করি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

আরও পড়ুন : ‘আমরা বেশি কনফিডেন্ট হয়ে গেছি’

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like