পাবনার চাটমোহরে দুইটি মেছো বাঘ ধরতে গিয়ে চারজন আহত হয়েছেন। ২ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বামনগ্রামের ইছা বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস, মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে এনামুল হক, ইসমাইল হোসেনের ছেলে মহিদুল ইসলাম ও আফসার আলীর ছেলে আনিছ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে বামনগ্রামে দুইটি মেছো বাঘ বেশকিছু মুরগী ও একটি ছাগল খাওয়ার পর এলাকায় ‘বাঘ’ আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এতে এক প্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সকালে মেছো বাঘ দুটি গ্রামের গোরস্তানে আটকে ফেলে এলাকাবাসী।
এ সময় মেছো বাঘের আক্রমণে চারজন আহত হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর পিটুনিতে একটি মেছো বাঘ মারা যায়। পরে দুইটি মেছো বাঘই ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে নিয়ে গেলে উৎসুক জনতার ভীড় জমে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ বিষয়ে ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নবীর উদ্দিন মোল্লা জানান, সকালে গ্রামবাসী একজোট হয়ে মেছো বাঘ দুইটি ধরতে চায়। পরে মেছো বাঘ দুইটি না মেরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু একটি মেছো বাঘ আনার সময় মারা যায়। বাঘ ধরতে গিয়ে চারজন আহত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম জানান, সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে আহতদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। আর মেছো বাঘকে পিটিয়ে মারা হলে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। এ নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হবে।
পাবনার বন বিভাগের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, পাবনার বন্য প্রাণী বিষয়ক সংগঠন নেচার এ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনসারভেশন কমিউনিটির মাধ্যমে আমরা খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি জীবিত মেছো বাঘ উদ্ধার করেছি। অন্যটি মারা গেছে। উদ্ধার করা মেছো বাঘও কিছুটা আহত। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর অবমুক্ত করা হবে।
পাবনার বন্য প্রাণী বিষয়ক সংগঠনের সভাপতি এহসান আলী বিশ্বাস লিঠু জানান, এটি মুলত বিপন্ন প্রজাতির মেছো বিড়াল। কিন্তু অনেকেই এটিকে মেছো বাঘ বলে থাকেন। এরা মানুষের কোন ক্ষতি করে না। তাদের বসবাসের জায়গা হ্রাস পাওয়ায় অনেক সময় লোকালয়ে দেখা যায়। পরিবেশে এদের রক্ষা করতে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
