Home জাতীয় মামলা করতে কক্সবাজারে মেজর সিনহার বোন

মামলা করতে কক্সবাজারে মেজর সিনহার বোন

by Amir Shohel

কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় মামলা করতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। ৫ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে এসে একটি মাইক্রোবাসে করে পরিবারের আরও অন্য সদস্যরাসহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সামনে পৌঁছান তিনি।

তারা বর্তমানে অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফার চেম্বারে অবস্থান করছেন। জানা গেছে, সেখানে মামলার কাগজ প্রস্তুত হলে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করবেন।

এর আগে ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে এই সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় তদন্ত কাজ শুরু করে কমিটি। ওইদিন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান কক্সবাজারে পৌঁছে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে এক সমন্বয় সভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।

৩১ আগস্ট শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনার পর প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাহজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও পরে তা পুনর্গঠন করা হয়।

গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুনর্গঠন করা কমিটিতে  চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির একজন প্রতিনিধি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছে।

ওই ঘটনার পর ২ আগস্ট কক্সবাজারে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. জাকির হোসেন। সোমবার বিকেলে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ পরিদর্শন করেন ডিআইজি। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে কিছুই বলেননি।

ভয়েসটিভি/প্রতিবেদক/এএস

You may also like