কক্সবাজার প্রতিনিধি: করোনাকালে মানুষ যখন ঘরবন্দী, তখন প্রকৃতি ফিরছে নিজ রূপে। এরমধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের দু’পাশের দৃশ্য সবার নজর কেড়েছে। কোনো কোলাহল না থাকায় সড়কের দুপাশে এখন লাল কৃষ্ণচূড়া ও রাঁধাচূড়া, বেগুনি জারুল ফুলসহ নানা রঙের বাহারি ফুলের শোভা। সেইসাথে গাছে-গাছে বিভিন্ন পাখির কলতান ও মৌমাছির গুঞ্জণ। এ যেন এক অপরুপ দৃশ্য। শুধু চোখ নয়, হৃদয়ও জুড়িয়ে যায়।
একপাশে উঁচু পাহাড়ে সবুজের সমারোহ, অপর পাশে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। পাহাড় আর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মিতালীর মধ্য দিয়ে চলে গেছে বিশ্বের অন্যতম মেরিনড্রাইভ। করোনাকালে প্রায় আড়াইমাস জনমানব শূণ্য থাকায় এই সড়কের দু’পাশ সেজেছে অপরূপ রূপে। কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়কের দুপাশেই এখন নানা রঙের বাহারী ফুল।
কৃষ্ণচূড়া ও রাঁধাচূড়ার লাল পাপড়ি সড়কে যেন লাল গালিচা বিছিয়েছে। আর গাছে বিভিন্ন পাখির কলতান ও মৌমাছির গুঞ্জণে মনে হয়, এ যেন সাজানো বাগান। এই সৌন্দর্য দেখতে করোনার আতঙ্কের মধ্যেও আসছেন কিছু প্রকৃতিপ্রেমী।
এ সড়কে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রাতে দেখার জন্য দরিয়ানগর থেকে ৪ কিলোমিটার লাইট লাগানো হয়েছে। সেইসাথে সড়কের দুপাশে সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী আরো গাছ লানো হবে বলে জানান কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ।
করোনকাল পার হলে প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য দেখতে মেরিনড্রাইভ ভিড় জমবে হাজারো পর্যটকের। এমনটাই মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
রিপোর্ট: জাবেদ ইকবাল চৌধুরী
এডিট: ফাহিমা সুফল