হত্যা ও লুটের পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ে করার জন্য পরিবারগুলিকে হুমকি দিচ্ছে তালেবানরা। রাজি না হলে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে আফগান প্রশাসন। এ তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালেবান।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক খবরে বলা হয়েছে, মেয়েদেরকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ের অভিযোগকে ‘ভুল খবর’ বলে উল্লেখ করেছে দলটি। আর এর জন্য আফগান সরকারকেই দায়ী করেছে তারা।
তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন এ প্রসঙ্গে পর পর বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘তালিবানের বিরুদ্ধে মেয়েদের জোর করে বিয়ে করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা সরকারের বিষাক্ত প্রচার।’
আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি কাবুল বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছে তালিবানের বিরুদ্ধে। কখনও বলছে মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কখনও আবার বলছে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, বন্দি বানানো হচ্ছে।’
এর আগে আফগান প্রশাসন দাবি করে, একের পর এক প্রাদেশিক রাজ্যগুলি দখল করতে করতে কাবুলের দিকে এগোচ্ছে জঙ্গিরা। যে সব এলাকা দখল করছে সেখানে মৃত্যুলীলা চালাচ্ছে তারা। লুঠ করছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি। বন্দি বানানো হচ্ছে বহু মানুষকে।
আফগান সরকারের দাবি করে, দখলকৃত এলাকায় মেয়েদের বিয়ে করার জন্য পরিবারগুলিকে হুমকি দিচ্ছে তারা। না দিতে চাইলে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
দ্রুততার সাথে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং প্রাদেশিক রাজধানীগুলি নিজেদের দখলে নিচ্ছে তালেবান। এতে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
বৃহস্পতিবার গজনি, কন্দহর, লস্করগাহ ও হেরট বিমানবন্দর দখল করেছে তালেবান। শনিবার মাজার-ই-শরিফ ও রবিবার জালালাবাদও বিনা বাধায় দখল করে নিয়েছে তারা। আর কয়েক কিলোমিটার দূরেই রাজধানী কাবুল।
উল্লেখ্য, আমেরিকার সেনাবাহিনী দেশ ছাড়ার তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে সহিংসতায় ৩ দিনে ২৭ শিশুর মৃত্যু
ভয়েস টিভি/ এএন
