Home সারাদেশ মহাশ্মশানে মোমের আলো!

মহাশ্মশানে মোমের আলো!

by Newsroom

বরিশালের মহাশ্মশান ঘিরে তোরণ আর আলোকসজ্জা। আর প্রিয়জনের স্মৃতিতে সমাধির পাশে মোমের আলো। রয়েছে প্রিয় খাদ্যসহ বিভিন্ন উপাচারও। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে সমাধিস্থল। এ আয়োজন দেখে আর বোঝার বাকি নেই,  কি হতে যাচ্ছে এখানে?

হে! এটা সনাতন ধর্মালম্বীদের শ্মশান দিপালী উৎসব। শুধু মাত্র বরিশাল ছাড়া এই শ্মশান দিপালী উৎসব দেশের আর কোথাও নেই। প্রতিবছর পঞ্জিকা অনুসারে ভূত চতুদর্শীর পূণ্য তিথিতে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের।

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবটি ১৩ নভেম্বর শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা ৩২ মিনিটে ভূত চতুর্দশী আরম্ভ হয়ে ১৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ২টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এ তিথি।

প্রতি বছর এই উৎসবে যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন হাজারো মানুষ। তবে করোনার  কারণে এ বছর নিয়ম আর পুরানো ঐতিহ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি মেনেই পালিত হচ্ছে উৎসব।

আর বিধি নিষেধ মেনেই পূর্ব পুরুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সমাধিতে জ্বালিয়েছেন আলোর রোশনাই। সমাধিতে প্রিয় খাবার সহ নানা উপাচার ও ফুল দিয়ে সমাধি সাজিয়ে তুলেছেন প্রিয়জনরা। পরলোকগত পূর্বপুরুষদের জন্য করা হয় প্রার্থনা।

মহাশ্মশান রক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার ভয়েস টিভিকে জানিয়েছেন, যেহেতু করোনা ভাইরাস এখনো অব্যাহত রয়েছে তাই কমিটির পক্ষ থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদি কেউ মাস্ক পরে না আসেন, তাদের জন্য মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক মাইকিং করা হচ্ছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো মহাশ্মশান এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিয়োজিত আছে ১৫০ জন পোশাকধারী পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও র‌্যাবের একাধিক টিম নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।

বরিশাল নগরীর লাকুটিয়া খাল ঘিরে প্রায় ৫ একর জায়গা নিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই মহাশ্মশান। ১৮৯৭ সালে জেলা সৃষ্টি হবার পরই কীর্তনখোলার পাড়ে গড়ে ওঠে বরিশাল নগরী। এর কিছুকাল পড়েই নগরীর কাউনিয়া এলাকায় স্থাপিত এই মহাশ্মশান। এখানে প্রায় ৬০ হাজার সমাধি রয়েছে।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like