Home সারাদেশ চল্লিশ মৌচাকের বাড়ি

চল্লিশ মৌচাকের বাড়ি

by Newsroom
মৌচাকের বাড়ি

ফরিদপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে অন্তত ৪০টি মৌচাকের দেখা মিলেছে। এ যেনো এক মৌচাকের বাড়ি । জেলার রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে এমনই এক বাড়ির সন্ধান মিলেছে।

বাড়ির পাশেই রয়েছে ‘কানাডা বাজার’। এ বাজারের একটি ছোট দোতলা ভবনের চারপাশজুড়ে মৌমাছিরা কয়েক বছর ধরে এসব মৌচাক তৈরি করেছে।

জানা গেছে, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সেকেন্দার আলী বছর পাঁচেক আগে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। সেই বাড়িতে গত তিন বছর ধরে মৌমাছিরা বাসা বাঁধতে শুরু করে। প্রতি বছরই বাড়ছে মৌচাকের সংখ্যা। বাড়িটির চারপাশজুড়ে রয়েছে সরিষা ক্ষেত। কর্মী মৌমাছিরা সরিষা ক্ষেতের ফুলে ফুলে ঘুরে মৌ-রস সংগ্রহ করে।

এই মৌ-রসকে বলা হয় নেকটার। নেকটার সংগ্রহ করে মৌমাছিরা তা মৌচাকে নিয়ে গিয়ে মধুতে রূপান্তরিত করে। এসব মৌমাছি কারও কোনো ক্ষতি করে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাড়িটির দোতলার কার্নিশের চারপাশজুড়ে মৌচাক। বাড়ির সামনে ছোট আমগাছেও মৌচাক রয়েছে চারটি।

বাজারের ব্যবসায়ী মজিদ শেখ, আবজাল হোসেন, সুজনসহ অনেকেই জানান, মৌমাছিরা কাউকে কামড়ায় না। বাজারে উড়ে বেড়ায়। মাঝেমধ্যে রাতে লাইটের আশপাশে ভনভন করে।

আরও পড়ুন : রাজবাড়ীতে কোর্ট হাজতে আসামির আত্মহত্যা

তিনি আরও জানান, খাঁটি মধু সহজে মেলে না। এ কারণে তিনি মৌচাক থেকে সংগৃহীত মধু আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের দিয়ে থাকেন। প্রথম বছর ১৬টি মৌচাক বসেছিল। গত বছর বসেছিল ২৭টি। এ বছর ৪০টির মতো বসেছে। আরও সময় আছে। মৌচাক এ বছর আরও বাড়বে বলে ধারণা তার।

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান জানান, মৌমাছি ফুলে ফুলে নেকটার সংগ্রহ করে। সেই নেকটারই তারা পরে মধুতে পরিণত করে। মৌমাছির চাক তৈরির কিছু উদ্দেশ্য থাকে। যে অঞ্চলে ফুলের সমারোহ বেশি থাকে, যেখানে থাকলে ফুলের নেকটার সংগ্রহ করা সহজ- এমন জায়গা পছন্দ করে তারা।

ভয়েস টিভি/ডিএইচ

You may also like