কুড়িগ্রামে মৌসুমের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলাটিতে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই হাঁড় কাঁপানো শীত অনুভব করেছে জেলাবাসী। ঠাণ্ডা আর কুয়াশা তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে বাধ্য করেছে তাদেরকে। রাতে ঘরের চালে বৃষ্টির মতো টিপটিপ শব্দে কুয়াশা পড়েছে। আর সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি অবলোকন করেছেন বাসিন্দারা।
বিশেষ করে শ্রমজীবীরা পড়েছেন বেশি সমস্যায়। শনিবার সকালে ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল পথ-ঘাট। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হালকা রোদের দেখা মেলায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র চরাঞ্চলের দিনমজুর আফজাল হোসেন জানান, এলাকায় এমনিতেই কাজের অভাব। এর মধ্যে ঠান্ডায় বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে তারা কাজের খোঁজেও বের হতে পারছেন না।
আফজাল বলেন, সবাই তো খালি ত্রাণ হিসেবে কম্বল দেয়, আমাগো জন্য সোয়েটার-জ্যাকেট বা গায়ের চাদর দরকার। ঠান্ডা খুব, বাইর হইয়া কাজ করতে না পাইলে খামু কেমনে।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল এবং ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্যে উপজেলা প্রতি ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের (কৃষি ও সিনপটিক) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় বয়ে যাওয়া মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই একদিন স্থায়ী হতে পারে। তবে তাপমাত্রা এর চেয়ে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন : আজও তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
ভয়েস টিভি/এমএইচ