ম্যালওয়্যার একটি ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যেটি থার্ড পার্টির সুবিধার জন্য ইউজারের অনুমতি ছাড়া সংবেদনশীল তথ্য হস্তান্তর করতে পারে। ম্যালওয়্যার হলো এমন কিছু সফটওয়্যার যা মোবাইলের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি করে।
সহজ ভাষায় আপনি একে ‘দুষ্ট’ সফটওয়্যার বলতে পারেন, যে দুষ্টুমির ছলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি করে যায়। বিশ্বে ম্যালওয়্যার আক্রমণে এখনো সেই শীর্ষ তিনে রয়েছে বাংলাদেশ।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্যাসপারস্কি তাদের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে যে হিসাব দেখিয়েছে সেখানে আক্রমণের সংখ্যা অনেক বেশি দেখা গেছে। বছরের শুরুর প্রান্তিকে বাংলাদেশে মোবাইলে ম্যালওয়্যার আক্রমণ ছিল ১৮.৫৮ শতাংশ। সেটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে এখন ১৯.৩০ শতাংশ।
শীর্ষ দশ দেশের তালিকাটা এমন: ইরান (৪৩.৬২ শতাংশ), আলজেরিয়া (২১.৯৭), বাংলাদেশ (১৯.৩০), মরক্কো (১৭.৫৭), নাইজেরিয়া (১৫.১২), ভারত (১৩.৫৪), সৌদি আরব (১৩.৫২), কেনিয়া (১২.৬১), ইন্দোনেশিয়া (১২.১৭), পাকিস্তান (১২.১৬)।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যেসব ম্যালওয়্যার বেশি আক্রমণ করে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে হিডেনঅ্যাড। অন্যগুলোর মধ্যে অন্যতম: AdWare.AndroidOS.Outad.c এব AdWare.AndroidOS।
ক্যাসপারস্কি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়তে থাকায় হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ মোবাইল ফোন ম্যালওয়্যার আক্রান্ত। পিসির মধ্যে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ!
প্রযুক্তি জগতে বেশ কয়েক প্রকার ম্যালওয়্যার রয়েছে। তার মধ্যে ভাইরাস, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার, র্যানস্যামওয়্যার এবং ওয়ার্ম বেশি পরিচিত।
ভয়েস টিভি/টিআর