প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ষণ সমাজের একটি ব্যাধি। ইদানিং এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এবং প্রচারও হচ্ছে। যতবেশি এই ঘটনাগুলো প্রচার হচ্ছে, ততবেশি এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনা রোধ করার জন্যে ব্যাপক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যাপারে জনসচেতনতাও সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে গণভবনের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়গুলো সংযুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আজকে যারা সনদ নিচ্ছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানায়। কারণ আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে জনগণের সেবা করবেন। কাজেই জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন।
জাতির পিতার বক্তব্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। দেশ যাতে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আজকে যারা নবীন কর্মচারী তাদের কিন্তু এই কথাটাই মনে রাখতে হবে। এই দেশের গরীব মানুষগুলি এখনো যারা সেই তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এদেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে সবাই লেখাপড়া শিখে আজকে উঠে এসেছেন। কাজেই সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করাটা হবে সব থেকে বড় দায়িত্ব।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্যে জলাধারগুলো রক্ষা করতে হবে। যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে সেগুলো উদ্ধারে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেছন, বাংলাদেশকে দারিদ্র মুক্ত করতে হবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়ে তার একটা ঠিকানা করে দিতে হবে। কোন মানুষ ঠিকানবিহীন থাকবে না। কোন শিশু পথশিশু হয়ে থাকবে না। প্রত্যেক শিশুরই একটা ঠিকানা হবে। সে যেনো পড়ালেখা করে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমাদেরই করে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভূ-খণ্ড ছোট হলেও মানুষ অনেক বেশি। সে কারণে প্রতিটি গ্রামই যেনো শহরের সুযোগ সুবিধা পায়। গ্রামে বসে যেনো নাগরিক সুবিধা পায় সেভাবেই আমরা গ্রামগুলোকে গড়ে তুলতে চাই।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস এমন একটা সমস্যা যেটা শুধু বাংলাদেশ না, পুরো বিশ্বটাকেই যেন স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সমস্যা অনেক বেশি কিন্তু তার মাঝেও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সামাজিক সব ধরনের অবস্থানগুলি যেন অব্যাহত থাকে, আমাদের মানুষ যেন সেবা পায়, মানুষের যেন ভোগান্তি কম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ভয়েস টিভি/এমএইচ