Home শিক্ষাঙ্গন যবিপ্রবির আবাসিক হলে চুরি

যবিপ্রবির আবাসিক হলে চুরি

by Newsroom

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান আবাসিক হলে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে চুরির বিষয়ে দায় নিতে অস্বীকার করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর হলের ৪১৪ নম্বর কক্ষ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কম্পিউটার চুরি হয়। এ ঘটনায় হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন চৌধুরীকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগেই হলটিতে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে চুরি যাওয়া হলের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বাড়িতে থাকায় চুরি যাওয়া জিনিসের পরিমাণ জানা যায়নি।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে গেলে বিভিন্ন নিয়ম মানতে বাধ্য করা হয়। হলের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত ২৬টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। সেখানে এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এসময় ক্ষতি পূরণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রত্যেকটি চুরি একইভাবে করা হয়েছে। চোর পেছনের বেলকনি দিয়ে দরজা খুলে ঢুকে সামনের দরজা লাগিয়ে দিয়ে চুরি করে। চুরি যাওয়া জিনিসের মধ্যে আসবাবপত্র, ফ্যান, বিভিন্ন ধরনের পোশাক, গিটারসহ শিক্ষার্থীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য রয়েছে।

হলের ৪১৩ নম্বর কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমার কক্ষ ছাড়াও  একাধিক কক্ষে চুরি হয়েছে। এটা চুরি না বলে ডাকাতি বলাই ভালো। কিন্তু হল প্রশাসন নাকি কিছুই জানে না। সব দোষ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাজমুল হাসান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চোর বা চুরির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে চুরি রোধে তদন্ত কমিটির পরামর্শে হলের নিরাপত্তাকর্মী বৃদ্ধি, সার্চলাইট ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।

হলে চুরির ঘটনা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, হল বন্ধ ঘোষণার সময় নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যেতে বলা হলেছিল। কিন্তু তারা আমাদের অবহিত না করেই মূল্যবান জিনিস হলে রেখে গেছে। সুতারাং এখন সেগুলো হারিয়ে গেলে তার দায়ভার প্রশাসন নেবে না। এটা তাদেরই ভুল ।

 

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like