Home সারাদেশ গোপালগঞ্জে অনাকাঙ্ক্ষিত যাচাই-বাছাই থেকে মুক্তির দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

গোপালগঞ্জে অনাকাঙ্ক্ষিত যাচাই-বাছাই থেকে মুক্তির দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

by Newsroom
যাচাই-বাছাই

‘আমাদেরকে সরকার প্রদত্ত সার্টিফিকেটগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক। লাল বার্তা নীল বার্তা নয়। আমাদের নামে সরকার যে চিঠি পাঠিয়েছিল সেই বার্তা কী ছিল, সেটা দেখলেই সত্যতা প্রমাণ হবে। মৃত্যুপথযাত্রী এ বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা যারা এখনও বেঁচে আছি, আমাদের অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাই থেকে মুক্তি দেয়া হোক।’

এমন দাবি নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জে সংবাদ-সম্মেলন করেন সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা।

তাঁরা জানান, ১৯৯৬ সালে গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে সরকার প্রদত্ত চিঠির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে তাদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ হয়। প্রাথমিকভাবে ৩০০ টাকা ভাতা পেতেন। যা এখন ১২ হাজার টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।

অথচ জামুকা ও মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলির কারণে ২০০৩ সালে, এরপর ২০০৫ সালে, এরপর ২০১৭ সালে তাদের যাচাই-বাছাই ও গেজেট প্রকাশ হয়েছে। বর্তমানে তারা ভাতাও পাচ্ছেন। তারপরও পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে আগামী ৯ জানুয়ারি তাদেরকে ইউএনও অফিসে ডাকা হয়েছে। এভাবে বার বার অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাইসহ হয়রানীর সম্মুখীন হয়ে তারা এখন বিব্রত ও ক্লান্ত।

তারা আরও জানান, এলাকার এই ১৯ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ইতিমধ্যে ১১ জন মারা গেছে। জীবিত আট জনের মধ্যে দুজন অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী। এমতাবস্থায় নতুন করে যাচাই-বাছাইয়ের সময় সহযোগী তিনজন জীবিত মুক্তিযোদ্ধা হাজির করার যে শর্ত দেয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত কঠিন। তাই এ ধরণের অনাকাঙ্খিত যাচাই-বাছাইয়ের হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার দাবি জানায় তারা।

সংবাদ-সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল)। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম ফকির, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম মোল্যা, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ ও মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি জাকির হোসেনসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like