Home বিশ্ব যে দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৫০ জন!

যে দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৫০ জন!

by Amir Shohel

ভ্যাটিকান সিটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ। ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র ইতালীর রাজধানী রোমের পাশেই অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি।

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে আমরা এতো দিন জেনে আসছি ইউরোপের দেশ ভ্যাটিকেন সিটির কথাই । কিন্তু এর চেয়েও ছোট দেশ রয়েছে তা আপনি জানেন ? হ্যা, ভ্যাটিকান সিটির চেয়েও ছোট দেশে রয়েছে । দেশটির বাসিন্দা মাত্র ৫০ জন। দেশটির নিজস্ব পতাকা, পাসপোর্ট, মুদ্রা সবই আছে।

ভ্যাটিকানের আয়তন ১১০ একর। ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা প্রায় ৯২০ জন। রোমান ক্যাথলিক গির্জার বিশ্ব সদর দফতর হিসেবে কাজ করে। উত্তর-পশ্চিম রোমের ভ্যাটিকান পাহাড়ের উপর একটি ত্রিভুজাকৃতি এলাকায়, তিবের নদীর ঠিক পশ্চিমে, ভ্যাটিকান শহর অবস্থিত।

১৯২৯ সালের দিকে ইতালির ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান বিনেটো মুসোলিনির সময়ে পিটরো গ্যাসপারি নামক একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুসোলিনির অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। রহস্যঘেরা এ ছোট্ট দেশটিকে নিয়ে লোকমুখে নানা কথা প্রচলিত আছে।

এদিকে উত্তর মহাসাগরে ব্রিটেনের জলসীমায় সাফোক উপকূলে অবস্থিত পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশের নাম প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড। দেশের রাজধানী নাম এইচএম ফোর্ট রাফস। মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। ০.২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দেশ নিয়েই জানুন আরো কিছু তথ্য ।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ‘দেশ ‘প্রিন্সিপ্যালিটি অব হাট রিভার। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মধ্যেই অবস্থান। এ দেশের নিজস্ব মুদ্রা, পাসপোর্ট, ভিসা সবই রয়েছে। তবে প্রিন্সিপ্যালিটি অব হাট রিভার নিজেকে দেশ ঘোষণা করলেও অস্ট্রেলিয়ার বাকি দেশগুলো কিন্তু একে দেশ হিসাবে মানতে নারাজ। মাত্র ২৬ জনসংখ্যা নিয়ে নামমাত্র জায়গা জুড়ে দেশ ঘোষণার পিছনে কী সুবিধা থাকতে পারে প্রিন্সিপ্যালিটি অব হাট রিভারের?

সিল্যান্ড এর এই অবকাঠামো ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় বৃটিশরা তৈরি করেছিলো। জার্মানরা যেকোনো সময় ইংল্যান্ডে আক্রমণ করতে পারে সেই ভয়ে ইংল্যান্ড সেনারা সমুদ্র উপকূলে এমন অনেক দূর্ঘ তৈরি করে। এসব দূর্ঘের মাধ্যমে শএু জাহাজের উপর নজরদারি করা হতো। প্রয়োজনে জাহাজে আক্রমণের ব্যবস্থাও ছিল। ২য় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হবার পর ইংল্যান্ড সেনারা কিছু দূর্ঘ নিজেরাই বোমা মেরে ধংস করে ফেলে।

পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক বৃটিশ সেনা কর্মকর্তা মেজর প্যাডি রায় বেটস এবং তার পরিবার এই জায়গাটি দখল করে। তারপর তারা এটিকে একটি স্বাধীন মাইক্রোরাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা দেয়। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র সিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও কেউ এর বিরোধিতাও করেনি।

সিল্যান্ড দেশটির মোট জনসংখ্যা মাএ ২৭ জন। অতীতে জার্মান দূরবিত্তরা সিল্যান্ড আক্রমণ করে দেশটির রাজপুত্রকে অপহরণ করেছিলো। তারপর থেকে এখানে নিরাপত্তা রক্ষী নিযুক্ত করা হয়েছে। বাইরে থেকে দেখলে যদিও এই অবকাঠামোটিকে ২৭ জনের বসবাসের উপযোগী বলে মনে হয় না কিন্তু, এর ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সিল্যান্ডের দুটি কংক্রিটের ভিতরেও আছে অসংখ্য ঘর। অতীতে এসব ঘরে বৃটিশ সৈন্যরা অবস্থান করতো।

দেশের ভিতরে রয়েছে পানি ও জলের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রয়েছে জেনারেটর। পর্যটকরা চাইলেই দেশটিতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে না।

সিল্যান্ড পৃথিবীর যে জায়গায় অবস্থিত তার ঠিক বিপরীত পাশে আমেরিকার বিশ্ব বিখ্যাত স্টাচু অব লিবাটি অবস্থিত।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like