বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামকে সুসংহত ও দৃঢ় করেছে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, লেখকরা। জিয়াউর রহমান তার জীবনে কোনোদিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কটূক্তি করেননি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল নেতা। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য যারা খেতাব পেয়েছে, তাদের অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশে আর মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশের আর কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে আপনারা সম্মান করবেন বিএনপি সেটা বিশ্বাস করতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে অগ্রাজ্য করা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার করার সমান। জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। খন্দকার মোশতাক মার্শাল ল করেছে। খন্দকার মোশতাক তো বিএনপির ছিলো না। বিএনপি গণতন্ত্রকে বার বার উদ্ধার করেছে।
ইকবাল হাসান টুকুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম ও মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব শ্যামা ওবায়েদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস টিভি/এসএফ