Home লাইফস্টাইল রাতের খাবারের কতক্ষণ পর ঘুমাতে যাওয়া উচিত

রাতের খাবারের কতক্ষণ পর ঘুমাতে যাওয়া উচিত

by Amir Shohel

অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অনেকসময় হাশফাশ লাগে। তখন নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়। কেউ কেউ এরকম সমস্যা অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়েন। কেউ আবার সারাদিন কাজ করে এতটাই ক্লান্ত থাকেন যে খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভ্যাসে স্বাস্থ্যের ক্ষতির পরিমাণটাই বাড়ে। এতে বদহজম, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি , ওজন বৃদ্ধি এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের খাবার খাওয়া ও ঘুমানোর মধ্যে কমপক্ষে তিন ঘন্টার ব্যবধান হওয়া উচিত। এর ফলে খাবার পেট থেকে ছোট অন্ত্রের দিকে চলে যায় এবং হজমে উন্নতি করে। এতে বুক জ্বালা এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা তৈরি হয় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার রয়েছে যা ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন-টার্কি এবং মাংসের চপের মতো খাবারগুলিতে ট্রাইপটোফেন নামক পদার্থে বেশি পরিমাণে থাকে। যা দেহের ঘুম বৃদ্ধিকারী এজেন্ট সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিনে ব্যাঘাত করে। এ কারণে যখনই আপনি কোনও ভারী খাবার খাবেন, খেয়াল রাখবেন রাতের খাবার খাওয়ার আর ঘুমানোর মধ্যে যেন যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান থাকে।

পুষ্টিবিদদের মতে, এমন অনেক খাবার আছে যেগুলি ঘুম নষ্ট করে। ঘুমানোর ঠিক আগে এসব খাবার খেলে নিঃসন্দেহে ঘুমকে আরও খারাপ করতে পারে। আবার খুব বেশি খেলে অস্থিরতা সৃষ্টি তৈরি হয়। যার ফলে বুক জ্বালা, অস্থিরতা এবং মুখে তিক্ত স্বাদ তৈরি করতে পারে। মশলাদার এবং অম্লীয় খাবারগুলি এ ধারনের সমস্যা বেশি তৈরি করে। এছাড়া অ্যালকোহল, চকোলেট এবং পেপারমিন্ট বুক জ্বালা এবং রিফ্লক্সের সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এজন্য এসব খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

পুষ্টিবিদদের ভাষায়, ঘুমানোর আগে ক্যাফিন সমৃদ্ধ কফি, চা, সোডা পপ, শক্তিবর্ধক পানীয় এবং চকোলেট এড়ানো উচিত। ক্যাফিন অ্যাডেনোসিনকে ব্লক করে। এটি এমন একটি রাসায়নিক ঘুমের সময় গ্রহণের ফলে অনিদ্রা হতে পারে।

You may also like