বাংলায় যতটুকু যশ পেয়েছেন, সেটা ধরে বসে থাকতে চান না তিনি। সব ভুলে গিয়ে কলকাতার বাইরে গিয়ে ‘স্ট্রাগল’ করতে হলে তাতেও রাজি তিনি। শূন্য থেকে শুরু করতে হলেও তাই করবেন। আনন্দবাজারকে এমনটাই জানিয়েছেন রানিমা খ্যাত অষ্টাদশী দিতিপ্রিয়া রায়।
মেথড অ্যাক্টিংয়ে বিশ্বাসী নন দিতিপ্রিয়া। সুইচ অফ-সুইচ অন করতে জানেন তিনি। যখন ‘করুণাময়ী রাণী রাসমনি’-র রানিমা, তখন তিনি সেটাই। একই দিনে ‘অভিযাত্রিক’-এর শ্যুটিংয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ‘অপর্ণা’ হয়ে উঠতে পারেন। তাই আপাতত ভালো কাজের সন্ধান এলে তিনি ছোট পর্দা ও বড় পর্দা-দুটিকেই সমান তালে চালাতে চান।
এ প্রসঙ্গে রানিমা খ্যাত দিতিপ্রিয়া জানান, তিনি নতুন করে জীবন শুরু করতে চান। শিখতে চান অভিনয়। অনেক কিছু শেখা বাকি বলে তার মত। সে ক্ষেত্রে পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটের মতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে অভিনয় শেখার ইচ্ছে দিতিপ্রিয়ার।
দিতিপ্রিয়া নবাগত হিসেবে পরিশ্রম করতে রাজি। রানিমার যশ, খ্যাতি- সব কিছুকে পিছনে ফেলে রেখে এগিয়ে যেতে চান। তবে হ্যাঁ, দিতিপ্রিয়া স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রেও অনড়। অভিনেত্রী জানালেন, ‘খুব বড় ব্যানারের ছবি হলেও চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে আমি কোনোভাবেই অভিনয় করতে পারব না।’
কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে দিতিপ্রিয়ার? এমন প্রশ্নে জানান ‘আমি জানি না কেন আমাকে সবাই সাবেকি সাজেই ভালবাসেন। সে রকম চরিত্রেই আমাকে ভাবেন! বলা হয়, আমার চেহারায় নাকি সারল্য রয়েছে। আর সেটাই কাজে লাগে। আমি সেটায় খুবই খুশি হই বটে। কিন্তু ‘ককটেল’ ছবিতে দীপিকার মতো ‘মন্দ মেয়ে’-এর চরিত্রে অভিনয় করারও ইচ্ছে রয়েছে।’
ডার্ক চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি একটি ফোটোশ্যুটও করেছিলেন। তাতেও সবাই তাকে ‘বাচ্চা’ হিসেবেই দেখেছেন।তার কথায়, ‘আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই আমাকে এত ছোট থেকে দেখছে যে কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না আমি বড় হচ্ছি। ১৮ বছর বয়স হয়ে গেছে শুনেও সবাই আমাকে সেই ছোট্ট দিতিপ্রিয়াই ভাবে। ওই আদরটাও আমার বড় পাওনা।’
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে দিতিপ্রিয়ার উত্তর, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। কোনো চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যদি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে বা সাহসী পোশাক পরতে হয়, আমি তাতে আপত্তি করব না। এটাই তো একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব।’
ভয়েস টিভি/এসএফ