তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ঢাকায় রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে তার দফতরে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানান।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মনে করেন- যেকোনও দেশের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো একমাত্র রেলওয়ে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে রেল খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।’
বৈঠকে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রেল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে। আগামীতে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। রেল খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে, সেটি ধরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন : ইভ্যালিতে ১শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে যমুনা গ্রুপ
চলমান কয়েকটি প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন নূরুল ইসলাম সুজন। এগুলোর মধ্যে- চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার নতুন রেল লাইন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের কাজ, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ। এছাড়া ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান মন্ত্রীর ভাষ্যমতে, ‘রেলপথ যমুনা নদীর কারণে দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। এগুলোর বেশিরভাগই সিঙ্গেল লাইন। এসব সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। নতুন নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি। কারখানা আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেক্ট্রিক ট্রাকশনের দিকে যাবো।’
রেলমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল তিন হাজার কিলোমিটার। বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটারে। জনগণের যাতায়াতের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকেই সরকার রেল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো শুরু করে।
উক্ত আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি।
ভয়েস টিভি/এমএম
