মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় এ তরুণী এবং ১২ তারিখে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা থাকলেও আগের দিন দিবাগত রাতে কোন এক সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় ঘটনার ৯ দিন পর শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম সাদিককে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশীদ এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই ওর্য়াড বয়কে ৫ দিনের ছুটিতে রাখা হয় এবং ২০ জুলাই রবিবার অভিযুক্ত ওর্য়াড বয় হাসপাতালে ডিউটি করেছে।
স্থানীয়দের চাপের মুখে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই তরুণী। শরীরিক অবস্থা ভালো হওয়ায় ১১ তারিখ রাতে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলে ১২ তারিখে ছুটি পাবে। ওই রাতে কোন এক সময় এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে রেফার করেন কর্মরত চিকিৎসক।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, শুনেছি ওই রাতেই হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন ডা. স্বপন কুমার সুর, নার্স দুলালী, সুমি আক্তার ও ওয়ার্ড বয় মাজেদুর রহমান।
ঘটনার ৯ দিন পর কেন তদন্ত কমিটি ঘঠন করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, ভিকটিমের কাছ থেকে কোনো প্রকার অভিযোগ পাইনি তবে লোক মুখে শুনার কারণেই আমি আমাদের এক জন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম সাদিককে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, হয়তো দুই তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদ জমা দেবেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধর্ষণের অভিযুক্ত ওর্য়াড বয়কে ঘটনার পর কেন পাঁচ দিনের ছুটি দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি ডা. মামুনুর রশীদ।
ভয়েসটিভি/এএস