Home প্রবাসী রোহিঙ্গাদের মাস্ক তৈরিতে অজ্ঞাতনামা অস্ট্রেলিয়ানের লাখ ডলার অনুদান

রোহিঙ্গাদের মাস্ক তৈরিতে অজ্ঞাতনামা অস্ট্রেলিয়ানের লাখ ডলার অনুদান

by Newsroom
লাখ ডলার অনুদান

বিশ্ব আজও করোনা জ্বরে কাপছে। সারা দুনিয়ায় এসছে আমুল পরিবর্তন। জীবন প্রবাহে নিত্য প্রবাহিত হচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা। দেশ-রাষ্ট্র, সমাজ, সভ্যতা, কৃষ্টি-কালচারে এনেছে নতুন মাত্রা।

কেউ হারিয়েছেন মা, কেউ সন্তান, কেউবা পিতা, আবার কেউ ভাই-বোনসহ স্বজন হারিয়েছেন এই করোনার ছোবলে। এই কোভিড-১৯ এর থাবা থেকে বাঁচতে নানা দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে অসহায়দের প্রতি।

হাতে তুলে দিচ্ছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই, মাস্কসহ করোনাকালীন সুরক্ষা সামগ্রী। সম্প্রতি এমনই এক মানবতার খবর দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ভিত্তিক রেডিও এসবিএস বাংলা।

রেডিওটির খবরে বলা হয়, এক অস্ট্রেলিয়ান পরিবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তারা পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক। করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানুষরা যাতে করে পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করতে পারে তার জন্য এক লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে সেই অস্ট্রেলিয়ান পরিবার। এ অনুদানে মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন একদল রোহিঙ্গা নারী।

মাস্ক

এই অনুদানের টাকা দেয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ফর ইউএনএইচসিআর এর মাধ্যমে। অস্ট্রেলিয়া ফর ইউএনএইচসিআর এ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত, ৪২ জন রোহিঙ্গা নারীকে এ কাজের জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে এবং তারা ৩৭,৬০০ এরও বেশি মাস্ক তৈরি করেছেন।

এই প্রকল্পের আওতায় পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক তৈরির জন্যে রোহিঙ্গা নারীদেরকে অর্থ প্রদান করা হবে। রোহিঙ্গাদের মাঝেই বিতরণ করা হবে মাস্ক। অনিশ্চিত অবস্থায় থাকা বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী এর ফলে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কুতুপালং ক্যাম্পে থাকা পাঁচ সন্তানের মা এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার পর এবং ক্যাম্পে চলাফেরায় বিধি-নিষেধ আসার পর আমি মাস্ক তৈরির কাজে যোগ দেই। এই মাস্কগুলো এখানকার শরণার্থীরা ব্যবহার করবে এবং আমি আমার সমাজের প্রতি অবদান রাখতে পারছি। এ জন্য আমি খুশি।

তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত নকশা ও উপকরণ দিয়ে কাপড়ের মাস্ক তৈরির জন্য প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাকে।

মাস্ক তৈরির এই প্রকল্পে এক লাখ ডলার অনুদান দিয়েছেন একটি অস্ট্রেলিয়ান পরিবার। তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না বলে জানিয়েছন অস্ট্রেলিয়া ফর ইউএনএইচসিআর এর ন্যাশনাল ডাইরেক্টর নাওমি স্টির। এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি সুরক্ষা-সরঞ্জাম রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কক্সবাজারের বৃহত্তর সমাজেও বিতরণ করা হবে।

মাস্ক তৈরি করার ফলে রোহিঙ্গারা কিছুটা সুরক্ষা পবেন এবং সেখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। করোনার জ্বর কবে থামবে তা কেউ জানেন না।

কিন্তু এই বিশ্ব সংকটের মাঝেও বেঁচে থাকুক মানবতা। বেঁচে থাকুক মানব সংস্কৃতি।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like