ভারত ও চীনের ১৬তম সীমান্ত বৈঠকও ব্যর্থ। লাদাখ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা অব্যাহত দুই দেশের মধ্যে। এবার লাদাখের নাগরি গুনসা এয়ারবেসে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে চীন। লাদাখ সীমান্তে প্যাংগং সো থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে চীনের এই এয়ারবেস।
হঠাৎ লাদাখ সীমান্তের এয়ারবেসে বেইজিংয়ের এই শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় সেনারা।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানে ইউএভিও মোতায়েন করেছে চীন। নাগরি গুনসা এয়ারবেসে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে দেশটি। একের পর এক অত্যাধুনিক ফাইটার জেট মজুত করছে চীন।
কয়েকদিন আগেই লাদাখ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল চীনা সেনারা। তাতে আবারও উত্তেজনা বেড়েছিল। তারপর থেকে বেশ উত্তেজনা প্রবণ হয়ে রয়েছে লাদাখ সীমান্ত। সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে ভারত। এখন নতুন করে লাদাখ সীমান্তে চীনের শক্তিবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতীয় সেনাদের। কয়েকদিন আগেই দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে লাদাখ সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন।
দুই দেশের সেনা সীমান্ত নিয়ে বৈঠক বসেছিল গত ১০ অক্টোবর। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহারের যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছিল তাতে রাজি হয়নি চীন। যার জন্য এক প্রকার ব্যর্থই হয়েছিল চীনের সঙ্গে ভারতের বৈঠক। বারবার আলোচনার পরেও সমাধান মিলছে না।
এদিকে, আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। তালিবানদের সমর্থন জানিয়েছে চীন। তাতেই ঘুম উড়েছে ভারতের। এবার চীন সীমান্তেও জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বারবার সেনাপ্রধান চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমঝোতা মজবুতের বার্তা দিয়েছেন। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সীমান্ত চুক্তি সংস্কার জরুরি বলে মনে করছেন ভারতরে সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে।
ভয়েস টিভি/এমএম
