দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোরাঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাউপুকুর গ্রামের এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে রাজু নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝেই ফোনে যোগাযোগ হতো রাজুর সঙ্গে। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে লাবু নামের এক যুবক। সে কৌশলে ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে।
পরে সে রাজু পরিচয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে। একপর্যায়ে ৩০ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়ির পাশের লিচু বাগানে দেখা করতে ডাকে।
পরে ওই ছাত্রী লিচু বাগানে গেলে নিজের প্রেমিক রাজুর পরিবর্তে লাবুকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করে এবং পালানোর চেষ্টা করে। পরে লাবু ও তার দুই সহযোগী ওমর ফারুক এবং আশরাফুল লিচু বাগানেই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভিকটিমকে নিয়ে তার মা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছে। এরপরই পৃথক স্থান থেকে আমরা তিন ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হই। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আসামিদেরকে আজ দিনাজপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আসামিদের আদালতে জবানবন্দী দেয়ার কথা রয়েছে। ভিকটিমকে দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা অধিকতর তদন্তের জন্য উভয়ের ডিএনএ টেস্ট করব।
আটককৃতরা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার ঘুুঘুরা (ভোতরা পাড়া) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ছদ্মবেশী প্রেমিক লাবু মিয়া (২৮), একই গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এবং অপরজন ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাউপুকুর গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (২১)।
ভয়েস টিভি/এসএফ