ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় শালিকা ধর্ষণের দায়ে এক ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে ওই শালিকা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায় বলে জানা গেছে।
৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দেবনাথ ঈশ্বগঞ্জের বিঘাগ্রা গ্রামের মৃত অবনি চন্দ্র দেবনাথের ছেলে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মানিক চন্দ্র দেবনাথ প্রায় ১১ বছর আগে ভালুকা উপজেলার ধলীয়া গ্রামের ওই ছাত্রীর মেজ বোনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির পাশেই একটি বাসায় থাকতেন তিনি। এর আগে বোনের বাচ্চা হওয়ায় ওই ছাত্রী ভগ্নিপতি মানিক দেবনাথের বাড়িতে সাংসারিক কাজ করে দিতে গেলে প্রায়ই যৌন হয়রানি করতো। বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়ার কথা বললে মানিক তাকে বিভিন্নভাবে তাকে ভয় দেখাতেন।
গত ২৮ মার্চ ওই বাড়িতে গেলে তার বোনে রাতে থেকে যেতে বলে। এই সুযোগে ওই রাতে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে ভগ্নিপতি। পরে ভগ্নিপতি আরো কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে। এর একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। পরে ময়মনসিংহের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় চিকিৎসক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই রঞ্জন চন্দ্র জানান, ১০ অক্টোবর শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামি মানিক চন্দ্র দেবনাথকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
