রায়ের অনুলিপি কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা ও দত্তক পাওয়া দম্পতিসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান রাসেল বলেন, শিশুটিকে কে দত্তক পেল আদালত থেকে এমন কোন নির্দেশনা আমি এখনো পাইনি। নির্দেশনা পেলে শিশুটিকে সেই দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হবে।
কালিগঞ্জ উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের সদস্য সচিব উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এখনো আদালতের কোন লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তবে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মৌখিকভাবে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, আদালত থেকে শিখা রানী চৌধুরী ও বরুন কুমার পাল শিক্ষক দম্পতি শিশুটিকে দত্তক পেয়েছেন। শিশুটি বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
দত্তক পাওয়া শিখা রানী চৌধুরী সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা রাঢ়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার স্বামী বরুন কুমার পাল যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি কারিগরি ও বানিজ্য মহাবিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।
শিশুটির দত্তক পাওয়া শিখা রানী চৌধুরী জানান, আমি খুব খুশি হয়েছি। আনন্দের অনুভূতি প্রকাশযোগ্য নয়। দ্রুত শিশুটিকে আমি নিজের কাছে নিয়ে আসতে চাই। আমি আদালত ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, যেহেতু সদ্যজাত শিশুটিকে শ্মশানের কাছে পাওয়া যায় সেহেতু শিশুটি হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের বলে ধারণা করা হয়। এই বিবেচনায় ২৯ টি আবেদনপত্র থেকে যাচাই বাছাই করে কেবলমাত্র আর্থিক অবস্থা বিবেচনা না করে সামাজিক ধর্মীয় ও অন্যান্য দৃষ্টিকোন থেকে আদালত শিশুটির মঙ্গলের জন্যে উক্ত শিক্ষক দম্পতিকে দত্তক দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
প্রসঙ্গত গত ৪ অক্টোবর কালিগঞ্জের গোলখালি শ্মশানের কাছে রাস্তার পাশে ব্যাগের মধ্যে শিশুটিকে পায় স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে প্রথমে কালিগঞ্জ সার্জিকাল ক্লিনিক ও পরে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ খবর মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দত্তক নিতে ২৯ টি আবেদন করেন শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।