Home শিক্ষাঙ্গন শিক্ষাব্যবস্থা ১২ ভাগে বিভক্ত, বাড়ছে সামাজিক বিভক্তি: মেনন

শিক্ষাব্যবস্থা ১২ ভাগে বিভক্ত, বাড়ছে সামাজিক বিভক্তি: মেনন

by Shohag Ferdaus
সামাজিক বিভক্তি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার স্থলে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন প্রায় ১২ ভাগে বিভক্ত। শিক্ষার ক্ষেত্রে যখন এই ধরনের বিভক্তি থাকে তখন সামাজিক বিভক্তিও বেড়ে উঠে। সামাজিক ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা’ শিরোনামে ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের আলোকে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষানীতি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও একমুখী শিক্ষার বাস্তবায়ন তো দূরের কথা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন প্রদান করা, মাতৃভাষার উন্নয়ন করা, আদিবাসীদের ভাষাগুলোকে সামনে নিয়ে আসা, শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করা ও ক্রমাগতভাবে শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয়করণ বা জাতীয়করণ করার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো যেটা হয়েছে সিলেবাসকে সাম্প্রদায়িককরণ করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তক ধর্মীয়করণ করা হচ্ছে এবং একমুখী শিক্ষার বদলে শিক্ষাকে আরও বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনকে এখনো প্রাসঙ্গিক দাবি করে তা বাস্তবায়নে একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের ফলে নতুন এক বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে এই বৈষম্য নিরসনে সরকারের নিকট বিনামূল্যে ডিভাইস প্রদান ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।

অনুষ্ঠানে আরও আলোচক ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সুশান্ত রায় এবং ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইবি শাখা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like