Home সারাদেশ শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনির ব্যক্তিগত অর্থায়নে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট

শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনির ব্যক্তিগত অর্থায়নে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট

by shahin
দীপু মনি

চাঁদপুর প্রতিনিধি : সরকারি হাপাতাল। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা । করোনা কালীন সময়ে হাসপাতালের নানা সংটের মধ্যে প্রকট হয় অক্সিজেন প্লান্ট না থাকা । এ অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল
হাসপাতালের জন্যে একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট দেয়ার জন্য সমাজের নানান জনের কাছে আহবান জানান চিকিৎসকসহ সুধী সমাজ । নিজের নির্বাচনী এলাকার সরকারি হাপাতালের এ সমস্যা সমাধানে এবার এগিয়ে এসেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি ডা দীপু মনি। তিনি নিজেই সংগ্রহ করেছেন অক্সিজেন প্লান্ট । এর দ্বারা হাই ফ্লু অক্সিজেন দেয়ার কাজ চলবে।

শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মন্ত্রীর বড় ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর নিজস্ব অর্থায়নে এ প্লান্ট বসানো হবে ।

শিক্ষামন্ত্রী ১৩ জুন শনিবার চাঁদপুর জেলা করোনা বিষয়ক প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ ঘোষণা দেন। তাঁর এ ঘোষণায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয় সভা থেকে।

এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি আপাতত এখন সদর হাসপাতালের ৩০ শয্যা কভার করার মতো ক্যাপাসিটির হবে। পরবর্তীতে এটির কলেবর আরো বাড়ানো যাবে। শিক্ষামন্ত্রীডা. দীপু মনি বলেন, আমি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জন্যে একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট ব্যবস্থা করেছি। তবে এটি বিদেশ থেকে এনে এখানে স্থাপন করা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে।

তিনি আরো বলেন, করোনা চলে গেলেও এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি সব সময়ের জন্যেই কাজে লাগবে। বিশেষ করে আইসিইউর জন্যে তো অবশ্যই এটি লাগবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়। এখানে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগী আসছে। যাদের শ্বাস -প্রশ্বাসে খুবই সমস্যা হচ্ছে। তখন তাদের সিলিন্ডার অক্সিজেনে কভার করে না। এতে করে রোগীর দুর্ঘটনা ঘটে। সে জন্যে দেখা যায় যে, হাসপাতালে ভর্তি করার ১/২ ঘণ্টার মধ্যেই রোগী মারা যায়। অর্থাৎ এই মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীর যে সাপোর্ট দরকার সেটি এ হাসপাতালে নেই।

তােই প্রথমে হাসপাতালের ডাক্তারদের থেকেই দাবি উঠে হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের। এরপর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে দাবি উঠে। পরে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি পুরো জেলাবাসীর উপকার করলেন মানুষের সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

সভায় চাঁদপুরের করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এ বিষয়ে করণীয় কী হতে পারে সে ব্যাপারেও বিভিন্ন জনে নানা মতামত ব্যক্ত করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেন চাঁদপুর শহরসহ পুরো জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিষয়ে ম্যাপ করার জন্যে। এ ম্যাপ দেখে আক্রান্তের হার অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সে লক্ষ্যে কাল রোববার বিকেল ৫টায় পুনরায় ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

You may also like