Home সারাদেশ শীতে জাহানারার গরম গরম চিতই-ভাপা পিঠা

শীতে জাহানারার গরম গরম চিতই-ভাপা পিঠা

by Amir Shohel

অগ্রহায়ণের শুরুতেই শীত উঁকি দিতে শুরু করেছে মানিকগঞ্জে, শীতের আগমনে ফুটপাতে হরেক রকমের পিঠা-পুলির পসরা সাজিয়ে বসেছে মৌসুমি বিক্রেতারা।

বৈচিত্রের ঋতুর ছয় দেশ বাংলাদেশ, হেমন্তের আগমনে শীত পড়তে শুরু করায় ফুটপাতে নানা ধরনের কালিজিরা, শরিষা, ধনিয়া, মরিচের ভর্তাসহ চিতই আর ভাপা পিঠা পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতা। আর এ মুখরোচক পিঠা খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করছে নানা বয়সী নারী পুরুষ।

২৩ নভেম্বর সোমবার রাত ৯টার সময় জেলার সাটুরিয়া উপজেলা সদরে মধ্য বয়সী নারী জাহানারা বেগম ফুটপাতে পিঠা বিক্রয় করছে এমন চিত্র দেখা যায়। স্বামী হানিফ মিয়া সহায়তা করছে আর স্ত্রী পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে, বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ সিরিয়াল দিয়ে এই মুখরোচক পিঠা খাচ্ছেন এবং অনেকে পরিবার পরিজনদের জন্য নিয়েও যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাটুরিয়া বাজার এলাকার মূল প্রবেশদ্বারের পাশে ফুটপাতের পাশে একটি চকি পেতে বসেছে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতা, ওই চকির এক কোনে চালের গুড়া, পাটালি গুড়, চারটি চুলা বসিয়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকে জাহানারা বেগমের ফুটপাতের দোকানের চিত্র।

হালকা শীত আর মৃদু বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে শীতের পোশাক পরে পিঠা খেতে আসতে থাকে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। অনেকে আবার পরিবার পরিজনের জন্য পিঠা নিতেও আসছে এবং কিছু সময় অপেক্ষা করে সেই কাঙ্খিত পিঠা নিয়ে বাড়ি ফিরছে। ডিম চিতই ১৫ টাকা, শুধু চিতই ৫ টাকা ও ভাপা পিঠা বিক্রয় হচ্ছে ৫ টাকায়, স্বল্প মূল্যের কারণে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

পিঠা খেতে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দূর্জয় নামের এক ছাত্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ সে কারণে বাড়িতে আসছি, শীতের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়েছি একটু ঘুরতে। শীতের মধ্যে চিতই পিঠা শরিষার ভর্তা দিয়ে খেতে খুব মজা। আর সে জন্য জাহানারা আপার দোকানে পিঠা খেতে আসছি। পিঠা খেতে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয় তবে এ অপেক্ষা পিঠা খাওয়ার আগ্রহটা আরো বাড়িয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।

নার্গিস নামের এক নারী বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করি সে জন্য সাটুরিয়াতে থাকি। হালকা শীতের মধ্যে চিতই আর ভাপা পিঠা খাওয়ার টেস্ট অনেক আগে থেকেই সে কারণে অফিস শেষ করে ফেরার পথে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য পিঠা নিয়ে বাসায় যাচ্ছি।

সাটুরিয়ায় পিঠা বিক্রেতা জাহানারা বেগম বলেন, স্বামী এ বাজারের দফতরির কাজ করে সে যে টাকা বেতন পায় তা দিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়া ও সংসার চালানো অনেক কষ্টের তাই আমি এ শীতের সময় পিঠা বিক্রয় করতে ফুটপাতে দোকান দিয়েছি।

শীতের সময় অনেকে শরীর গরম করতে পিঠা খেতে আসেন, আবার অনেকে পরিবার পরিজনদের নিয়ে পিঠা খাবেন সে জন্য প্যাকেট যোগে নিয়েও যান। সারাদিনে এক হাজার থেকে বারশত টাকার পিঠা বিক্রয় করলে দুই-তিনশত টাকা লাভ হয়। সব জিনিসের দাম অনেক বেশি সে কারণে লাভ কম হয় বলেও জানান এই পিঠার মৌসুমি বিক্রেতা।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like