টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফসলের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঋণগ্রস্থরা।
জানা যায়, টানা একমাসের বন্যায় জেলার ৫২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৪টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে জেলার ৩৪ হাজার ৭শ ২২ জন কৃষক পরিবারের ১ হাজার ১০ হেক্টর আমন বীজতলা, ১শ ১৪ হেক্টর রোপা আমন, ২শ ৯০ হেক্টর আউশ, ৫শ ৪০ হেক্টর শাক সবজি ও ৮৩ হেক্টর জমির পাটের আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক।
এছাড়া জেলার ৬শ ৬৫টি পুকুর, দীঘি ও খামার তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৫শ ৬৫ জন মৎসচাষী। ব্যাংক ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আবাদ করেছে অনেকে। তাই চলতি বছরের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে দিশেহারা তারা।
এক মাসের বন্যায় গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত কৃষি প্রণোদনাসহ সড়ক মেরামতের দাবি স্থানীয়দের।
শেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল আলম জানান, এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আজিজুল হক বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও মৎসচাষীদের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ভয়েসটিভি/এএস