মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা আক্রান্তের খবরে মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। তার অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী প্রচারণা ঝুঁকিতে পড়ায় আগামীতে তিনি আবার নির্বাচিত হবেন কি না তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
১ অক্টোবর ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হলে ২ অক্টোবর মার্কিন শেয়ারবাজার পর্যবেক্ষণ করলে এ চিত্র দেখা যায়। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোর শেয়ারবাজারেও।
মার্কিন শেয়ারবাজারে তিনটি বড় সূচকের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সি। সেখানে দ্যা ডাউজোন্স, এস এন্ড পি-৫০০ এবং নাসডাক-এর দর এক শতাংশ কমেছে। এটি আরো বড় দরপতনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে উল্লেখ করে আনাদোলু।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ফের লেনদেন শুরু হলেই ৫০০ পয়েন্ট হারাবে ডওজন্স, প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক হারাবে ২ শতাংশ আর এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক কমবে ১.৭ শতাংশ।
নির্বাচনের ঠিক একমাস আগে ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর কিছুদিন আগেই তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির প্রমাণ সরূপ একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যার জেরে হই চৈ পড়ে গেছে গোটা বিশ্বে। এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে। অন্যদিকে এই নির্বাচনে ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে। তাই সরকার যদি পরিবর্তন হয় যুক্তরাষ্ট্রে সে আশঙ্কা থেকে সতর্ক থাকছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কার আরও একটি কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প আক্রান্ত হওয়ার কারণে হোয়াইট হাউজের আরও অনেক কর্মকর্তা কোভিড-১৯ সংক্রমিত হতে পারেন। এতে মার্কিন সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একটি দূরত্ব তৈরি হবে। করোনার ধাক্কায় মার্কিন সরকার গুরুত্বপূর্ণ বিল এবং লেনদেনে সময় ক্ষেপণ করতে পারে। এমন আশঙ্কাও করছেন অনেক বিনিয়োগকারী। যার ফলে তারা বিনিয়োগে একটি ধীর গতিতে চলতে চাইছেন। যার ধাক্কা লাগছে শেয়ারবাজারের সূচকে।
আইজি গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বাজার পলিসি নির্ধারক জিঙ্গি প্যান মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ দিয়ে ট্রাম্পের করোনা আক্রান্ত হওয়া ও নির্বাচনী কার্যক্রমে তার স্বশরীরে অনুপস্থিতি মার্কিন নির্বাচনকে আরও জটিল করে তুলবে, যার প্রভাব পড়বে দেশটির পুঁজিবাজারে।
ভয়েস টিভি/এসএফ