Home সারাদেশ শৈত্য প্রবাহে দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের জনজীবন

শৈত্য প্রবাহে দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের জনজীবন

by Newsroom
শৈত্য প্রবাহে

টানা শৈত্য প্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে এ জনপদ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দোকান পাঠ।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত, দিনমুজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

২৯ জানুয়ারি সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস।

দিনে সামান্য কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও অধিকাংশ সময় মিলছে না সূর্যের দেখা। দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।  প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাট ও বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। এ কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের। অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে।

যাত্রাপুর এলাকার ঘোড়ার গাড়িচালক আয়নাল মিয়া বলেন, অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ঘোড়াগুলো দৌঁড়াতে পারছে না। আমারও প্রচুর ঠাণ্ডা লাগছে। কিন্তু কী করবো? মালামাল পরিবহন না করলে না খেয়ে থাকতে হবে।

কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যানচালক জব্বার আলী জানান, কয়েক দিন থেকে প্রচুর ঠাণ্ডা যাচ্ছে। শীতের কাপড় পরেছি। তবুও ভ্যান চালালে সেই কাপড় ভেদ করে ঠাণ্ডা বাতাস লাগছে। শৈত্য প্রবাহে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

ভোগডাঙ্গা এলাকার খড়ি বিক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ। একদিন খড়ি বিক্রি করতে না পারলে পেটে ভাত যায় না। শীতবস্ত্র কেনারও সামর্থ্য নেই। তাই হালকা কাপড়েই বেরিয়ে পড়েছি খড়ি বিক্রি করতে। খুবই ঠাণ্ডা লাগছে।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলমান রয়েছে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন : শীতে জবুথবু পঞ্চগড়

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like