এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষিত ওই কিশোরী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। তবে পুলিশ বলছে ওই কিশোরী একজন ভাসমান প্রতিতা।
৫ অক্টোবর সোমবার দুপুরে ধর্ষিতা কিশোরীসহ ৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯), মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রইসল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৯), রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস (২৩) এবং একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নসিমন চালক মহি উদ্দিন (৩৫)।
কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রামের থাকা অবস্থায় ইমন তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার রাতে ইমন চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেসে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাস স্টান্ডে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ইমনের সহযোগী সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস সিএনজিতে তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে সাইফুলের বাড়িতে একটি রুমে আটকে ইমন তাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানায়, সাইফুলের বাড়ি থেকে রাতে এক নারীর গোঙানির শব্দ পেয়ে ঘরে ভেতর গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ওই কিশোরী একজন ভাসমান পতিতা। এজন্যে কিশোরী ও আটককৃত ৪ যুবককে ২৯০ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, রাতে এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় এলাকার লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার
ভয়েস টিভি/এসএফ