ভার্চুয়ালি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার দাবি তুলে হইচই ফেলে নেয়া নারী নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। গত বছরের শেষ দিকে ভার্চুয়াল জগতে ‘হেনস্থা’ হওয়ার দাবি করে রীতিমতো আলোচনার ঝড় তুলেছেন তিনি। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মেটার তৈরি করা ভিআর প্লাটফর্ম হরাইজন ওয়ার্ল্ডসে একজন বেটা টেস্টার হিসেবে এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন ৪৩ বছর বয়সী নিনা জেইন পাটেল।
তিনি বলেন, জয়েন করার ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই আমাকে মৌখিক ও যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। পুরুষালি কণ্ঠের ৩-৪ জন পুরুষ অবতার আমার অবতারকে ভার্চুয়ালি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং সেই ছবি ধারণ করে। যখন আমি সেখান থেকে বের হয়ে যেতে চেষ্টা করি, তখন আমাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
লন্ডনের বাসিন্দা এই মা বলেন, এত দ্রুত এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই যে সেফটি ব্যারিয়ার ব্যবহারের কথা ভুলে যাই আমি। মেটার সেফ জোন ফিচারের দিকে ইঙ্গিত করে এমন কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গান শোনাবে চশমা!
গত ডিসেম্বরে মেটা জানিয়েছিল তখনও পর্যন্ত নাম না জানা এক নারী ভার্চুয়ালি হেনস্থার শিকার হয়েছেন তাদের প্লাটফর্মে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা সবার প্রথম ব্লগ সাইট মিডিয়ামে লিখেন নিনা। কিন্তু এখন সবাইকে নিজের উদ্বেগের কথা জানাতে চান তিনি।
নিউইয়র্ক পোস্টকে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিনা বলেন, মেটাভার্সগুলোতে হয়রানি একটি গুরুতর ইস্যু। এ বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্ট শিল্পকে এক হয়ে সিকিউরিটি কন্ট্রোল ও নিরাপত্তার পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এটি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা আমাদের দুনিয়া এখন টুডি ইন্টারন্টে থেকে থ্রিডি ইন্টারন্টে স্পেসে (দ্য মেটাভার্স) প্রবেশ করছে।
ভয়েসটিভি/আরকে