Home শিক্ষাঙ্গন নিয়োগের পরই সহাকারী প্রভোস্ট, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ

নিয়োগের পরই সহাকারী প্রভোস্ট, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ

by Shohag Ferdaus
বেরোবি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক জহির উদ্দিন। যোগদানের পরপরই পেয়েছেন শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব। তিনি নিয়োগের পর ক্যাম্পাসে না গেলেও উপাচার্যের আস্থা অর্জন করায় ইতোমধ্যে বাগিয়ে নিয়েছেন এ পদ। সিনিয়র শিক্ষকদের উপেক্ষা করে প্রশিক্ষণরত নবীন শিক্ষককে হলের দায়িত্ব দেয়ায় ক্যাম্পাসে চলছে তীব্র সমালোচনা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান জহির উদ্দিন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে কখনো ক্যাম্পাসে না গিয়েই ঢাকায় অংশ নিয়েছেন ছয় মাস মেয়াদী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘যে শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসে এখনো আসেনি। তাকে কিভাবে হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়। হলগুলোর কি তাহলে ঢাকায় কোনো শাখা রয়েছে?’

গত ২৬ জানুয়ারি তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই দিন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লুবনা আক্তারকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক প্রভাষক আব্দুল মুঞ্জেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা উভয়ই যোগদান করেন ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর। এর পর ছয় মাস ছিলেন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকায়।

সে হিসেবে ২০২০ সালের মে/জুনে তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষ হয়। এরই মধ্যে করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ ক্যাম্পাসে সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও অনভিজ্ঞ নবীন শিক্ষকদের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খেয়ালীপনাকে দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জানান, ‘অবিবেচনাপ্রসূত দায়িত্ব প্রদান উপাচার্যের চরম উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ। লিয়াজোঁ অফিসের নামে তিনি নিজেই দিনের পর দিন ঢাকায় থাকেন। তাই ঢাকায় থেকেই তিনি সব করতে চান।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘বেরোবির হল সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। ক্যাম্পাসে না এসেই দায়িত্ব দেয়াটা প্রশাসনের চরম উদাসীনতার বহিঃপ্রকাশ।’

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like